এত তাড়াতাড়ি জীবন গোটালি, কেন রে বন্ধু বল?
তোর জন্য যে জমানো রয়েছে হাজার কথার ঢল।
অভাবের সাথে নিত্য মিতালি ছিল জানি আমি তোর,
তাই বলে এই অসময়ে যাবি? ডুবালি আঁধারে ঘোর।


শাহাবাগ মোড়ে শেষ দেখা তোর একাকী পাইনি বলে,
কথার ঝাঁপিতে ছিপি এঁটে দিয়ে এসেছি সেদিন চলে।
তখন কি আর বুঝতে পেরেছি ওপারে যাওয়ার তাড়া,
আজ বড়ো ব্যথা এ বুকে বিঁধছে, আমি কী হতচ্ছাড়া!


অভাবের পথ সোনায় মুড়িতে নিত্য নতুন পথে,
হাতুড়ি-শাবল চালাতে চালাতে উঠলি স্বর্গ রথে।
কত না স্বপ্ন আঁকা ছিল তোর মনের গহীন বনে,
শিল্পকলায় সে সব শোনাতি আড্ডায় নিরজনে।


অসময়ে তোর এই পলায়ন শেষের দিনের কথা,
জাগিয়েছে মনে ভীতির প্রহর, বয়ে আনে নীরবতা।
ওপারের ডাকে তোর ও শহরে দেখা যদি হয় ফের,
আবার জমাবো নতুন আড্ডা, গল্প হবেই ঢের।


২০/১১/২০২৩ ইং


গত ২৮/১০/২০২৩ ইং তারিখে আমার শ্রদ্ধাভাজন দাদা তপন বাগচী তাঁর টাইমলাইনে তাঁর এক ঘনিষ্ঠ কবি বন্ধু "তারেক মাহমুদ" এর অকাল প্রয়াণ সম্পর্কে একটি শোক বার্তা পোস্ট করেছিলেন। শোক বার্তায় লেখা তপনদার বিষয়বস্তু ধার করে আমি নিচের কবিতার প্রথম আট চরণ লিখেছিলাম। গত ২০/১১/২০২৩ ইং তারিখে সেই লেখাটা বর্ধিত করে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম। তপনদা বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক এবং গীতিকার। বর্তমানে তিনি বাংলা একাডেমীর উপ-পরিচালক (রিসার্চ)। কবিতাটি সঙ্গত কারণে দাদাকে উৎসর্গ করলাম।