শ্রাবণ বাদল কেন তোমার আঁখিতে
অবিরাম ঝরে যায় কাঁদিতে কাঁদিতে?
কী দুঃখে কাতর তুমি? কী বেদনা মনে?
কপোল কেন গো ভিজে ঘোর বরিষনে?
চারিদিকে চেয়ে দেখো অনাহারী মুখ,
ক্ষুধায় কাতর, কারো মনে নেই সুখ।
তুমি থাকো মহাসুখে অট্টালিকা 'পরে,
কত লোক কষ্ট পায় রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে!
নেই খাদ্য, ছিন্নবাস, থাকে কুঁড়ে ঘরে,
ওদের কথা কি কেউ ভাবে অবসরে?
ওদের মতন দুঃখ নেই তো তোমার,
আঁখি পদ্মে অশ্রু কেন? কেন মুখ ভার?
চেয়ে দেখো ছিন্ন বস্ত্র, মলিন বদন!
ভিক্ষাপাত্র হাতে যায় কত না সদন!
কেউ বলে দূর দূর! কেউ বলে জ্বালা!
সরোষে কেউ বা দেয় দরজায় তালা!
ভিখারি যদি গো হয় যুবতী রমণী,
নেচে ওঠে শকুনের আরক্ত ধমনী।
সমাজে উচ্ছিষ্ট হয়ে ওরা বেঁচে রয়,
এভাবেই পঞ্চভূতে হয়ে যাবে লয়।
চেয়ে দেখো কত শিশু পিতৃ-মাতৃহীন,
অনাহারে, অনাদরে কেটে যায় দিন।
তোমার অবস্থা নয় ওদের মতন,
কেন কাঁদো? আত্মসুখে করো না যতন।
অপরের দুঃখ-ব্যথা করো অনুভব,
পাবে সুখ, মার্তণ্ডের আলোর বৈভব।


১৬/০৩/২০২২ ইং