নাতি-নাতনির জন্য মায়ের মনটা কাঁদে খুব,
অথৈ ব্যথার সাগরে দেয় মাঝে মাঝেই ডুব।
ঘুম আসে না, খায় না খাবার, ঝরে নয়ন লোর,
বদন কালো, যেন চন্দ্র গ্রহণ লাগা ঘোর।
মন পোড়া এ কষ্টের কথা! তাও তো বলা বারণ!
কী করে মা ভাইয়ের কাছে রয়!?
কেঁদে কেঁদেই করছে আয়ু ক্ষয়।"


পুনঃ ভূপেশ বললো তাকে, "এসব কথা আর বলো না ভাই!"
ভূপেশ যতই বলে
মানিক দেয় না কান,
লংকা বাটার ঝাঁজ মাখানো ছোঁড়ে কথার বাণ!
এমনি করেই অনেক স্বজন ফোটায় কথার হুল,
কথা তো নয়, যেন পাগলা রাজার মস্ত শূল।
সেই কারণেই কারো কথায় দেয় না ভূপেশ কান।
হেসে বলে, "যার যা খুশি যাচ্ছে বলে যাক,
সুখ যদি সে পায় খানিকটা, পাক।"


০৫/১২/২০২৩ ইং


                   --সমাপ্ত--


বিঃ দ্রঃ কবিতাটি ছোটখাটো কাহিনী কাব্য। একটু বড়ো। তাই তিনটি ভাগে বিভক্ত করে পোস্ট করছি। আজ তৃতীয় তথা শেষ ভাগ দিলাম।