ভূপেশের এক স্বজন এসে বললো তাকে, "তুমি স্বার্থপর,
মা কেন আজ তোমার কাছে রয়?
তোমার ভাইয়ের ছোট্ট ছেলে-মেয়ে,
তাদের কাছে থাকলে উনি থাকতে পারে ভালো।
খুশির তুফান বইবে তাদের মুখে,
মাও তোমার থাকতে পারবে সুখে।
দেখবে নিজের ছেলের ছেলে-মেয়ে,
থাকবে না হয় বাসি-ঠাণ্ডা খেয়ে--"


ভূপেশ তাকে বোঝাতে যায় খানিক,
বললো তাকে, "জানো কি সব, মানিক?
মায়ের অনেক দোষ!
একটা কিছু হলেই নাকি দেখায় ভীষণ রোষ।
ভাইয়ের ভাষায়, "মায়ের ভীষণ রাগ,"
কিছু হলেই ব্যাগ গুছিয়ে বাপের বাড়ি যায়,
বয়স অনেক, তবুও মা পান ও তামাক খায়!
টক ছাড়া মা খায় না মোটেই ভাত!
কাজ না করে শুয়ে-বসে কাটায় দিন ও রাত।
এসব ভাইয়ের ভাল্লাগে না মোটে,
মায়ের দিকে নীরব কথার নিঃশব্দবাণ ছোটে।
মাথাটি তার যায় হয়ে খুব গরম,
যা কিছু কয়, অর্থ যে তার চরম!
যখন-তখন মরার হুমকি দেয়!
রেগে-মেগে ছেলে-মেয়ে মারে!!
মা কি সইতে পারে?
তাইতো মা তার ব্যাগ গুছিয়ে বাপের বাড়ি চলে,
ভাইয়ের সম্মান তখন ভীষণ টলে।
তাছাড়া 'মা'-র হাজার রকম রোগ।
একটি কমলে দুটো বাড়ে,
বৃদ্ধি তো নয়; এ যেন সেই পাগলা দাশুর ঝোঁক।
নিজের মতোই করবে যা চায়, যতই তুমি পাও না দুঃখ-শোক।
সেই কারণে মাকে আমি রাখছি আমার কাছে।
ভাই থাকুক তার নিজের মতো, মাও থাকুক ভালো।
ব্যথার কাজল মুছে গিয়ে ফুটুক নবীন আলো।


০৫/১২/২০২৩ ইং


চলমান --


বিঃ দ্রঃ কবিতাটি ছোটখাটো কাহিনী কাব্য। একটু বড়ো। তাই তিনটি ভাগে বিভক্ত করে পোস্ট করছি। আজ দ্বিতীয় ভাগ দিলাম।