মনে ছিল আশা তোকে নিয়ে আমি বাঁধবো সুখের ঘর,
কেন ছেড়ে গেলি? কী কারণে তুই করলি আমায় পর?
উদাস দুপুর কাটে না আমার, কাটে না আমার দিন,
চাঁদের আলোর ক্ষীণ রেখা হয়ে এখনো বাজাস বিন।


স্মৃতির পাহাড় বুকের ভেতরে কিলবিল করে শুধু,
যেদিকে তাকাই নিদাঘ রোদের দেখি মরুভূমি ধু ধু!
বর্ষা মেঘের ফোটা ফোটা জল আঁখির কিনারে ঝরে,
আমি মরে যাই মরাল যেভাবে মরালী অভাবে মরে।


হাতে রেখে হাত দিয়েছিলি কথা থাকবি জনম ভর,
পুষ্প বিথীকা সাজাবো দুজনে উড়িয়ে দুঃখ-ঝড়।
হাসবো দুজনে মেঘ সরে গেলে সূর্য যেমন হাসে,
বেসে যাবো ভালো হংস-হংসী যেভাবে গো ভালোবাসে।


চাতক যেভাবে জলের অভাবে আকাশের পানে চায়,
তেমনি এ আমি তোর পথ চেয়ে বসে আছি নিরালায়।
মনের জানালা খোলা পড়ে আছে দখিনা বাতাস আশে,
জোছনা মাখানো বাতাস হয়ে কি আসবি আবার পাশে?


তুই ফিরে এলে হৃদয় মরুতে ফুটবে হাজার ফুল,
সুখ বয়ে যাবে নদীতে যেমন স্রোত বয় কুল কুল।
আমার ঘরের আঁধার তাড়াবে হাজার জোনাক এসে,
মেঘের ভেলার মতো ভেসে যাবো তোকে আমি ভালোবেসে।


আয় ফিরে ওরে, আয় ফিরে পুনঃ এক মুঠো রোদ হয়ে,
তৃষিত বক্ষে সজল বরষা পুনরায় যাক বয়ে।


২২/০৩/২০২২ ইং


আসরের বরেণ্য বিরহের কবি মোঃ আব্দুল লতিফ রিপন সব সময় বিরহের কবিতা লেখে। তার জায়গায় নিজেকে দাঁড় করিয়ে এই কবিতাটি লিখলাম। তাই কবিতাটি তাকেই উৎসর্গ করলাম।