ছোট্ট বেলায় ভূতের ভয়ে
গায়ে দিত কাঁটা,
শ্যাওড়া গাছের তলা দিয়ে
ছিল মানা হাঁটা।


তিন পথের ওই মোড়ের পাশে
ছিল শ্যাওড়া গাছ,
রাত-বিরাতে সকল সময়
ভূতরা নিত পাছ।


বিলের পাশের তেঁতুল গাছে
থাকতো বুড়ো ভূত,
দাদুর কাছে শুনেছি তার
ছিল একশ পুত।


তিন পথের ওই মোড়টা নাকি
এখন পাকা রাস্তা,
ছেলে-বুড়ো আড্ডা মেরে
খায় সকলে পাস্তা।


দাদুর কাছে বায়না ধরি
ভূত কি দেখা যায়?
আমায় নিয়ে চলো দাদু
সেই সে ছোট্ট গাঁয়।


হেসে তখন বলে দাদু
ভূত তো গাঁয়ে নেই,
ভূতরা সবাই শহর বাসী
ছুটছে নেচে ধেই।


এখন আমরা নিত্য দেখি
ভূতের নৃত্য কত!
নানা রকম সাজ-পোশাকে
হাঁটছে শত শত।


গাছগাছালি ছেড়েছে ভূত
ঢুকছে এসে ঘরে,
পটের বিবি সেজে থাকে
কষ্ট করে বরে।


অনেক ভূতে ব্যবসা করে
যায়না চরায়-বরায়,
এসির মধ্যে বসে থাকে
ভাল্লাগেনা খরায়।


ব্যবসাটা কি করে দাদু
বলো একটু আজ,
রাজনীতি আর চিটিংবাজী
এইতো ভালো কাজ।


২৬/০৮/২০২০ ইং