বীর প্রসবিনী স্বদেশ আমার হাজার বাধার ঢল,
দু-পায়ে মাড়িয়ে শৌর্য-বীর্যে হাসিতেছে খল খল।
এখানে জন্মেছিল মহাবীর ধনুর্ধারী সে রাম,
তাঁর মহাবলে শঙ্কা তাড়িয়ে হেসেছিল ধরাধাম।
প্রবল প্রতাপী রাবনের ভয়ে অসহায় দেব-নর,
দশানন শিরে পরাজয় এঁকে দিয়েছিল তাঁর শর।


কৃষ্ণ রূপে সে কংস মামার বিদীর্ণ করে বুক,
জরাসন্ধের দেহখানি চিরে বৃকদর পায় সুখ।
দুর্যোধনের স্বেচ্ছাচারিতা সৃজে পাণ্ডবে ক্রোধ,
মহাবল ভীম, গাণ্ডীবধারী অর্জুন নেয় শোধ।
শ্রেষ্ঠ ধনুর্ধারী অর্জুন, সু-বোদ্ধা গদাধর,
আর্যাবর্ত থেকে নাশ করে অরাজকতার ঝড়।


বহুকাল পরে পরাধীনতার জিঞ্জির পরে দেশ,
দীর্ঘ সময় বিদেশি বেনিয়া বসেছিল জেঁকে বেশ।
তাদের তাড়াতে বিনয়-বাদল-ক্ষুদিরাম শত শত,
স্বদেশের মান বাঁচাতে জীবন দিয়েছিল অবিরত।
বৃটিশ মুণ্ডে ঠুকেছিল শেষ পেরেক সুবাস বোস,
ঈর্ষান্বিত জালিম নেতারা দেখেছিল তাতে দোষ।


কড়া মার খেয়ে পুচ্ছ গুটিয়ে পালায় বৃটিশ রাজ,
ভারতের শিরে শোভা পায় যেন স্বর্ণখচিত তাজ।
এত যে বীরের গৌরব গাথা সোনার ভারতে এ কী!
শত-সহস্র কাপুরুষ আর কুচক্রীদের দেখি।
তাদের নিকটে দেশ কিছু নয়, আপনার সুখ বড়ো,
শত্রুর কাছে দেশ বেঁচে দিয়ে সম্পদ করে জড়ো।


ওদের তাড়াতে জেগে ওঠো আজ কামার-কুমার-তাঁতি,
এসো মুচি ভাই, বিজ্ঞানী যত জ্বালাতে নতুন ভাতি।
এসো হে কৃষক, শ্রমিক সকল গড়তে নতুন দেশ,
শত্রুর মুখে ছাই দিতে যেন না থাকে চেষ্টা লেশ।
উচ্চ বিত্ত, শিক্ষিত যারা গঙ্গায় দিয়ে ডুব,
তোমরাও এসো দেশের সেবায় মনোযোগ দিয়ে খুব।


জাগ্রত দেশ! জাগাও বিবেক! জাগো হে তরুণ বীর!
দেশের শত্রু বিনাশে কৃপাণ  হাতে নিয়ে থাকো থির।
এক হাতে করো স্বদেশের সেবা আর হাতে ধরো তির,
অর্জুন হয়ে অরি নাশ করে উচ্চ কর হে শির।
স্বদেশের ভালে লাল টিপ হবে ভোরের রঙিন রবি,
শৌর্য-বির্যে হাসিবে স্বদেশ যেন শিল্পীর ছবি।


২৪/১০/২০২৩ ইং


গতকাল ছিল শুভ বিজয়া! গতকাল কোন কবিতা পোস্ট করা হয়নি বলে কবি বন্ধুদের বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে পারিনি। আজ কবি বন্ধুদের জানাই শুভ বিজয়ার আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।