সুস্থ ছিলাম, সুস্থ থাকার চেষ্টায় থাকি রত,
বিষাক্ত ফোঁড়া মাঝে মাঝে জেগে জ্বালাতন করে শত।
যন্ত্রণা দেয়, অর্থ খসায়- তবুও থাকে না চুপ,
সুগন্ধ নয়; আয়েশে ছড়ায় দুর্গন্ধের ধূপ!


সুপ্ত অগ্নিগিরিরা যেমন নীরব নিথর থেকে,
আচমকা জেগে অগ্নি ভষ্মে চারপাশ দেয় ঢেকে।
হরিৎ বৃক্ষ পুড়ে হয় ছাই, সবুজ ফসল মরে,
পাদদেশে থাকা মানুষ সকল পুড়ে মরে থরে থরে।


মাঝে মাঝে বিষফোঁড়াও তেমনি তপ্ত শলাকা দিয়ে,
খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ভাজছে বেগুন ঘিয়ে।
তীব্র অনলে জ্বলে-পুড়ে মরি তার ঠোঁটে মৃদু হাসি,
এ যেন বিশাল বোঝার উপরে শাকের আঁটির রাশি।


স্বহস্তে কাটা গাছের গোড়ায় জল ঢালে অবিরত,
হাত দিয়ে নয়; হাতা দিয়ে ঢেলে বৃদ্ধি করে সে ক্ষত।
বিচার বুদ্ধি লুপ্ত হয়েছে বিবেক গিয়েছে পচে,
নষ্ট গল্প সাজিয়ে সাজিয়ে শুধুই নাটক রচে।


১০/০১/২০২৪ ইং


বিঃ দ্রঃ এই কবিতাটি আমার ব্যক্তিগত জীবনের হতাশার রূপক চিত্রাংকন।