নীলাঞ্জনা--
তোমায় দেখেছি আমি বৃক্ষের পাতার ফাঁকে
আনমনে গেঁথে যাও বকুলের মালা
পাখির কাকলি ভরা ভোরের হাওয়া
আলগোছে নেড়ে দেয় তোমার চিকুর
পত্র-পল্লবের ফাঁকে চুয়ে পড়া নরম রোদ্দুর
ছুঁয়ে যায় তোমার চিবুক
তোমার মুখের পানে চেয়ে পাশে থাকা বিড়ালের ছানা ক'রে যায় শুধু মিউ মিউ
বিবর্ণ পোশাকের মতো বিষণ্ণ তোমার মন
ভীতা হরিণীর মতো মায়াবী নয়ন
মনে মনে খুঁজো তাকে, মনে যার সেঁটে আছে ছবি
আমি পথভোলা এক ক্লান্ত কবি
চুপিসারে কিছুক্ষণ দেখি মালা গড়া
সাগ্রহে দেখি চেয় তোমার আড়ষ্ট আঙুলের অস্থির নড়াচড়া
মনে হয় কত যুগ বসে আছি গাছেদের ভিড়ে
পাখিরা আনন্দে গায় আপনার নীড়ে
আচনক ছুটে যাও জননীর ডাকে
আমি চেয়ে থাকি শুধু পাতাদের ফাঁকে
একমুঠো ভালোলাগা মেখে নিয়ে মনে
গায়ে মেখে হতাশার রোদ
হেঁটে চলি পুনরায় ফেরার আশায়
পাহাড়ি বৃক্ষরাজির ছায়ায় ছায়ায়
কোন এক অজানা- অসীম মায়ায়
আজো মন সেইখানে ধায়
পাহাড়ের পাদদেশে গাছের ছায়ায়
যেথা বসে আনমনে গেঁথেছিলে মালা
ঝরা পাতার মর্মর সুরে
বলে যায় নেই তুমি
চলে গেছ দূরে, বহু দূরে--


০৯/০২/২০২২ ইং