চৌর্যবৃত্তির নকশি কাঁথার সৌন্দর্যে কী সুখ!
গর্বিত এ বাংলার মানুষ লজ্জায় ঢাকে মুখ!!
হীরের খনির সন্ধানে আজ মস্ত চোরের ঢিবি,
আত্মপ্রকাশ করছে দেখে হাসেন সাহেব-বিবি।


খনন করলেই বেরিয়ে আসে চোরের নানান জাত,
এক তস্করের পেট ভরাতে অন্য চোরের হাত।
মাটি খুঁড়লেই বেরিয়ে আসে অজগর, পাইথন,
কিংবা এনাকোন্ডা বেরোয়, বেরোয় গুপ্তধন।


সাধারণের চোখ চড়কগাছ ভীষণ বাক্যহারা,
গুপ্ত হাসির বান ডেকেছে হয়ে পাগল পারা।
প্রকাশ্যে কেউ হাসে না, ভয় হতে পারে হামলা,
নয়তো নাকাল করতে পারে দিয়ে মিথ্যে মামলা।


শেখ মুজিবের দুঃখ ছিল পেয়ে চোরের খনি,
চোরের খনির মহারণ্যে আমরা এখন ধনী।
নাদুস-নুদুস চোরের আগে চলে তাদের ভুঁড়ি,
বাগান বাড়ির রঙ মহলে নাচে তন্বি ছুঁড়ি।


চোর ডাকাতের এই যে মেলা, এই যে খেলা ঘোর,
ঘুচিয়ে ধরায় কে ফোটাবে নতুন আলোর ভোর?
দীপাবলির পুণ্য লগ্নে দুর্গন্ধময় লোক,
অন্ধ প্রকোষ্ঠের ভাগাড়ে মরেই ঘোচাক শোক।


১৪/১১/২০২৩ ইং