হাতরাসের ঘটনা এখন ইতিহাস--
চার নরপশু ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে
হত্যা করেছিল একটি দলিত মেয়েকে!
প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিল সারা দেশ,
রাজনীতিবিদ থেকে আমজনতা সবাই!
অভূতপূর্ব ঘটনা! দারুন স্বস্তিদায়ক!
এমনই তো হওয়া উচিত, তাই না?


হাতরাসের ঘটনার কিছুদিন পরেই
ঘটে আরো একটি মর্মান্তিক ঘটনা
হরিয়ানায়--
প্রেমে সাড়া দিয়ে ধর্মান্তরে সম্মত না হওয়ায়
প্রকাশ্য দিবালোকে নিকিতা নামের একটি মেয়েকে
গুলি করে হত্যা করে এক প্রেমিক--
যার বিরুদ্ধে কোন রাজনৈতিক দল, আমজনতা  
কেউ করেনি কোন প্রতিবাদ, বিদ্রোহ!
সবাই মুখে তালা এঁটে বসে রইল কেন?
সচেতন জনতা এবং রাজনীতিবিদদের
মানবতাবোধ ও সচেতনতা হঠাৎ
উবে গেল কোথায়?


কেরালায় দুজন নিরীহ সন্ন্যাসী এবং
তাদের গাড়ির ড্রাইভারকেও
পিটিয়ে মেরে ফেললো একদল সন্ত্রাসী--
তাদের বিরুদ্ধেও এসব রাজনীতিবিদেরা
কোন ভূমিকা নিলেন না কেন? এরা কি তখন
গাঁজা খেয়ে ঘুমোচ্ছিলেন?
অদ্ভুত নয় কি? প্রশ্ন জাগে না মনে?
এত তাড়াতাড়ি আমজনতা এবং বিরোধী রাজনীতিবিদদের দম ফুরিয়ে গেল কেন?
যেসব রাজনৈতিক দল এবং রাজনীতিবিদেরা হাতরাসের  ঘটনায় সোৎসাহে
চায়ের কাপে ঝড় তুলেছিলেন,
মিছিলে মিছিলে ধুলোর মেঘ তৈরি করে
আকাশ ছেয়ে ফেলেছিলেন
কোথায় গেল তারা? চুপ রইল কেন?
যারা মানবতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার নামে
বুকে-পিঠে পোস্টার লাগিয়ে
ভিক্ষার থালা হাতে নিয়ে রাস্তায় দাঁড়ায়--
তারা প্রতিবাদ করল না কেন এই ঘটনায়?
আসলে এরা মেকি মানবতাবাদ এবং
ধর্মনিরপেক্ষতার কারবারি!
এদের আন্দোলন করা না করার সাথে
জড়িত রাজনৈতিক লাভ-লোকসানের হিসেব!
এদের থাকে ভোটের হিসেব!
তাই এই সব স্বার্থপর, ধান্দাবাজ রাজনীতিবিদদের
থেকে সতর্ক থাকা উচিত আমজনতার।
তাই নয় কি?


১৮/১১/২০২০ ইং