দেশের সুরক্ষা আগে ব্যক্তিস্বার্থ নয়,
দল যাক রসাতলে হোক পাপ ক্ষয়।
পণ্ডিতের সৃষ্ট সর্প প্রতি পলে পলে
বিষাক্ত ছোবল হানে, দেশ রসাতলে!


ক্ষমতার মোহে দেশ করেছে বিভাগ
বাপেরে লাদাখ ছেড়ে সৃজিছে নিদাঘ।
সেই পথে চিনা শত্রু করে আক্রমণ
স্বদেশ রক্ষায় চাই সংঘবদ্ধ মন।


জাতিসংঘ সভ্যপদ চিনেরে জোগায়
সেই সভ্যপদ লাভে বাপেরা ভোগায়।
কী নিগূড় ভাবনা ছিল ওই জালিমের!
ভারত সন্তান ভাবো গূঢ় তত্ত্ব এর।


এক দেশে বসবাস হিন্দু-মুসলমান।
কারো জন্য চার বিয়ে- বিধির বিধান
ব'লে সৃজিত নিয়ম। অপরের জন্য
শাদির নিদান এক দিয়ে তিনি ধন্য।


ভারত সন্তান ভাবো কী নিপুণ চাল!
ধর্মহীনেরা বুঝুক- ধর্মের প্রবাল
কোথায় নিয়েছে ঠাঁই? কার স্বার্থে তিনি
কৌশলে দিয়েছে মার নির্বোধেরে জিনি!


গুপ্ত রেখে সুপ্ত সাধ তিনি আপনার
কৌশলে বাড়ায়ে বংশ গেছে পরপার।
আমার স্বদেশ আজ ঝুঁকিপূর্ণ কূল
ভাঙ্গনের খেলা খেলে ওরা ছোঁড়ে শূল!


সময় আসন্ন দোরে, বিধিবদ্ধ হোক
এক দেশ এক বিধি- দূর হোক জোঁক!
এই পুণ্য কর্মে বাধা দেয় যে গাদ্দার
স্বদেশের শত্রু তারা, বড়ো কুলাঙ্গার!


পণ্ডিতের সৃষ্ট ক্লেদ বড়ো অভিশাপ!
নতুন প্রজন্ম জাগো! দূর করো পাপ!
পাণ্ডিত্যের মায়াজালে সৃষ্ট হলাহল
মোচনে স্বদেশ প্রেম হোক না সম্বল।


আবর্জনা মুক্ত করে বাঁচাও স্বদেশ।
কুহেলী বেদনা যদি থাকে কারো লেশ
কাঁদুক সে নরাধমে কাঁদুক বারেক,
স্বদেশের সুরক্ষায় দূর করো ভেক!


১৯/১২/২০২২ ইং