একটি বিষণ্ণ সকাল পেরিয়ে গেল অনায়াসে
পা রেখেছি আমি শ্রাবণের প্রখর মধ্যদুপুরে
সারা আকাশ জুড়ে মেঘ বালিকার আনাগোনা
গুরুগুরু রবে দেখায় বাদলের ভ্রুকুটি
কখনো হেসে ওঠে সূর্য, কখনো গোমড়া মুখো আকাশ
বিষণ্ণতার মধ্যদুপুর পেরিয়ে এলো বিকেল
অতঃপর সন্ধ্যা, নিঃশব্দে পেরিয়ে গেল গোটা রাত
এমনি করে কেটে যাচ্ছে আমার এক একটা আস্ত দিন
আমার আকাশ জুড়ে ভিড় করে আছে শুধুই বিষণ্ণতা
জীবনের সকাল কেটেছে দারিদ্র্যের সাথে যুদ্ধ করে
যৌবনের রৌদ্রোজ্জ্বল দুপুর কেটেছে আনন্দে
এখন জীবনের পড়ন্ত বিকেল
হাতছানি দিয়ে ডাকে নিকষ কালো আঁধার
আগে কখনো বিষণ্ণতার শিকার হইনি আমি
জীবনের পড়ন্ত বিকেলে আমার হৃদয়ে
জমাট বেঁধেছে এক আকাশ কন্টকময় বিষণ্ণতা
না পারছি নিজে সুখি হতে
না পারি প্রিয়জনদের সুখে রাখতে
প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে
পিতা-মাতাকে সুখে রাখার অঙ্গীকার পালনে
ব্যর্থ, অক্ষম আমি
চোরের মতো চুপি চুপি কখন যেন সংসারে
ঢুকে পড়েছে সন্দেহের গরল
যার বিষাক্ত নিঃশ্বাসে পর্যুদস্ত আমার মা-বাবা
কষ্টের গনগনে আগুনে পুড়ছে ওঁদের অন্তর
হে ঈশ্বর! হাওয়ায় উড়িয়ে নেয়া মেঘের মতো
এক ফুৎকারে উড়িয়ে নিয়ে যাও
ওঁদের বুকে জমে থাকা পাথর চাপা কষ্ট
মেঘের ফাঁকে উঁকি মারা সূর্যের হাসির মতো
বিষণ্ণতা দূর করে ওঁদের মুখে ফোটাও সোনালি হাসি
প্রবাহিত তটিনীর মতো ওঁদের মনে
বইয়ে দাও শান্তির পীযূষ ধারা--


১৫/০৮/২০২১ ইং