বর্ণ শ্রেষ্ঠ গাছে ধরে? যোগ্যতা মাপকাঠি,
হাইকোর্ট সেদিন বলে গেছে, কথা ভীষণ খাঁটি।
বন্দোপাধ্যায় পদের মানুষ সুইপারের কাজ করে,
চক্রবর্তী নামের মানুষ ব্যবসায় দাঁড়ি ধরে।
তারপরেও কি ব্রাহ্মণ হবে? বলবো তাকে উচ্চ?
আকাশ ছোঁয়া জ্ঞান-গরিমার মানুষ হবে তুচ্ছ?
গুণ ও কর্মের ভিত্তিতে হয় বর্ণ বিভাজন,
বংশীয় পদবি-বিত্তে হয় না নির্ধারণ।
উচ্চবর্ণ, নিম্ন বর্ণ বলতে কিছু নেই,
সু-গুণে হয় উচ্চ মানুষ নির্গুণ হারায় খেই।
সুশিক্ষা-সুবুদ্ধি-বিবেক, সুব্যবহার ভাই,
উঁচু-নিচুর মূল কারিগর বলতে আমি চাই।
উঁচু-নিচু ভাবনা আনে ভাইয়ে ভাইয়ে ভেদ,
তবুও স্বয়ং উচ্চ ভেবে যারা করে জেদ,
তারা মূর্খ, সমাজ দেহের জীবন্ত ক্যান্সার,
কেউ পাবে না পাত্তা তারা এই জামানায় আর।
যোগ্যতা আর গুণে যাদের উচ্চ বলে জানি,
প্রণতি ওই তাদের পায়ে আর কিছু না মানি।
নিচু কর্ম করে যারা তারাও তো নয় তুচ্ছ,
নইলে ও কাজ করবে তারা স্বয়ং যারা উচ্চ।
একই বাপের চারটি ছেলে জ্যেষ্ঠ কর্মকার,
মেজো ছেলে সেনাধ্যক্ষ, অপর ব্যবসাদার।
ছোট্ট ছেলে বিজ্ঞানী এক মস্ত পরিচয়,
বলতে পারো কার কি বর্ণ? রক্ত কি এক নয়?
নয় কি ভালো যদি ভাবো সবাই সবার ভাই?
উচ্চ-তুচ্ছ একই রক্ত কোন বিভেদ নাই।


১৪/০৯/২০২৩ ইং


বিঃ দ্রঃ "কর্ম" বলতে এখানে "পেশা" বুঝায়।


সনাতন ধর্ম সুরক্ষা পরিষদ (কেন্দ্রীয় কমিটি) এর যুগ্ম আহ্বায়ক এবং মুখপাত্র এডভোকেট গৌরাঙ্গ বসুর facebook পেইজে আগামী ২২-৯-২০২৩ ইং তারিখের মত বিনিময় সভার পোস্টারে "সকল হিন্দু ভাই ভাই, বিভেদ থেকে মুক্তি চাই" লেখা দেখে এই লেখার উৎপত্তি। তাই লেখাটি সুপ্রিয় ভাই অ্যাডভোকেট গৌরাঙ্গ বসুকে উৎস্বর্গ করলাম।