শৈশব ও কৈশোর কেটেছে পল্লী গাঁয়ে
ছনের ছাউনি দেয়া কুড়ে ঘরে
উদম আকাশ, নির্মল বাতাস
পাখ-পাখালির কিচিরমিচির
সবুজের ঢেউ খেলানো দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ
ধুলো ধূসরিত পথ-ঘাট
আহ্!কী যে অনাবিল সুখ!
অতঃপর শুরু উদ্বাস্তু শহুরে জীবন
উন্নত শিক্ষার জন্য পাথুরে শহরে পদার্পণ
শিক্ষা শেষে রাজধানীতে কর্মজীবন
ছিল না নিজের কোন বাড়ি-ঘর
ভাড়া বাড়িতে কেটেছে অস্বস্তির দিন-মাস-বছর
ঘুরেছি এ বাড়ি থেকে ও বাড়ি
কেটে গেছে পঁচিশ বছর
অবশেষে দেশান্তর


এখনো কাটেনি উদ্বাস্তু জীবন
চাই নিজের একটি বাড়ি
হোক না সে কুড়ে ঘর- ক্ষতি নেই
মন চায় বাবুই পাখির উন্মুক্ত আকাশ সুখ
চড়ুই পাখির অট্টালিকা সুখ ভোগ করেছি অনেক
আর নয়; চাই নিজের একটি গ্রাম্য ঘর
শুয়ে শুয়ে দেখবো খামখেয়ালি মেঘের ভাসন্ত ভেলা
উপভোগ করবো- রুপালি চাঁদের কামিনী সৌন্দর্য
অন্ধকারের অপূর্ব রূপ
হাজার তারার ঝিকিমিকি
আর মৃদু মৃদু বায়ে বৃক্ষের সবুজ পাতার দোলন
বসন্তে শুনবো শুকনো পাতার মর্মর ধ্বনি
স্বপ্ন পূরণের পথে হাঁটছি- শিশুর মতো টলমলো পায়ে
ফিরে পেতে চাই গাঁয়ের সে হারানো কৈশোর সুখ


০৩/১২/২০২২ ইং