ওই দেখো, ফ্যালারাম ফেলে যায় ছাতা,
ভুলে যায় তুলে নিতে দোকানের খাতা।
লোকে বলে ভোলারাম ভুলে যায় খেতে,
সারাদিন ব্যস্ত থাকে হাসি-গল্পে মেতে।


ভালোবাসে ছেলে-মেয়ে কিন্তু জন্মদিন,
ভুলে যায়, বকা খায় তবু হাসে ক্ষীণ।
বাজারে গেলে সে করে বেশরম কাণ্ড,
তেল-নুন ভুলে আনে হাঁড়ি-কুড়ি ভাণ্ড।


ভুলে যায় কোঁচা দিতে পরনের ধূতি,
পড়ে গিয়ে তবু হাসে, ভোঁতা অনুভূতি।
তাই দেখে ছেলে-মেয়ে হাসে খিক খিক,
মিষ্টি হেসে ফ্যালারাম হাঁটে পুব দিক।


শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে ফ্যালারাম হেসে,
সবারে প্রণাম করে খুবই ভালবেসে।
শ্বশুরের কাছে থাকা নাম বামাপদ,
তাকেও প্রণাম করে হয়ে গদগদ।


আহা! আহা! করো কি হে! ও আমার ভৃত্য,
শ্বশুরের কথা শুনে ফ্যালা করে নৃত্য!
বলে, তাতে হয়েছে কি? বয়সে তো উচ্চ!
তাই তো প্রণাম করি, করি না তো তুচ্ছ!


শ্বশুরের পাশে থাকা ছোট ছোট শালি,
কথা শুনে মজা করে হাতে দেয় তালি।
খেতে বড়ো পটু ফ্যালা, রেখে দুধ-ভাত,
ডাল দিয়ে খেয়ে নেয় চেটেপুটে হাত।


কত আর বলা যায় ফ্যালারাম কর্ম!
দয়িতার বকা খাওয়া হয়ে গেছে ধর্ম।
ভুলো মন, ভুল কাজ তবু নেই দুখ,
কামিনীর ভালোবাসা এনে দেয় সুখ।


তার সুখ দেখে লোকে করে হায়! হায়!!
তাই দেখে ফ্যালারাম খুশিতে হারায়!!


০৯/০১/২০২১ ইং