ভোলা পাগলা এখন নাকি মস্ত বড়ো নেতা!
বিদ্যা-বুদ্ধি নেই পেটে তার বলবে দেখে কে তা!?
স্যুটেড-বুটেড হয়ে চলে বিশাল বপু গাড়ি!
চোখ উঠে যায় কপালে তার দেখলে পেল্লাই বাড়ি।


গট গট করে হেঁটে চলে দেহরক্ষী সাথে,
রোদের ভয়ে দুই জমাদার ছাতা ধরে মাথে।
এর ওর দ্বারে ভিক্ষা করে চলতো না তার উদর,
এখন নাকি আছে ভোলার টাকার বড়ো ভূধর।


বিরাট বড়ো ভুঁড়ি নিয়ে ভোলা যখন চলে,
সদলবলে উপাসিকা চলে দলে দলে।
বক্তৃতা তার শুনলে হয়তো পেতে পারে হাসি,
হয়তো একটু ভাবলে তোমার পাবে খানিক কাশি।


ভোলা বলেন, ছিলাম আমি অবিশ্বাসী নাস্তিক,
দৈববাণী পেয়ে হলাম এখন আমি আস্তিক।
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ- বলো তোমরা সবাই,
কৃষ্ণ নামের মহিমাতে মাতবো আমরা ক' ভাই।


করজোড়ে সবার কাছে করি আমি ভিক্ষা,
কৃষ্ণ নামে ভোটটা দিয়ে নাও না সবাই দীক্ষা।
আশা করি সবাই আমার মার্কাতে ভোট দিবি!
নইলে কিন্তু গচ্চা যাবে আণ্ডা-বাচ্চা-বিবি!!


০৫/০১/২০২২ ইং


এই কবিতার বিষয় ভাবনা আসরের স্বনামধন্য, বরেণ্য কবি কবীর হুমায়ূন ভাইয়ের অদ্যকার কবিতা "ধর্ম ও অধর্ম" পড়ে মাথায় এসেছে। তাই কবিতাটি প্রিয় কবীর হুমায়ূন ভাইকে উৎসর্গ করলাম।