জীবনের বালুচরে হতাশা কুড়াই,
সাগরের নোনা জলে বেদনা ডুবাই।
সুখ-শান্তি নিরবধি বালুকাবেলায়,
রোদ মেখে হাঁটে, কাটে জীবন হেলায়।
স্বপ্নরা সবেগে ধায় পাগলের বেশে,
নিরুদ্বেগে বর্ষা কাঁদে একা একা হেসে।
বরষার খুশি মেখে আপনার গায়ে,
ভিজে ভিজে নাচে শিশু গুটি গুটি পায়ে।
পাশের ডোবায় ডাকে নিঃসঙ্গ ডাহুক,
জেগেছে হৃদয়ে তার মিলনের ভুখ।


আনমনে বাতায়নে বসে ভাবি আমি,
হতাশা-বেদনা-সুখ কে যে বেশি দামি!
সব যায় দূরে চলে ভাবে না তো মিছে,
হতাশা-বেদনা থাকে চুপিচুপি পিছে।
সর্পিল গতিতে চলা কর্দমাক্ত পথ,
যুবতী নারীর মতো নেড়ে তার নথ,
হাত ইশারায় বুঝি ডাকে বারে বারে,
কার পদধ্বনি আশে আমি চাই আড়ে।
ঝিল্লিমুখর সন্ধ্যায় মন উচাটন,
নীরস সময়ে মন দহে অনুক্ষণ।


কার যেন পদধ্বনি ওই শোনা যায়,
শন শন বায়ু বয়, সুদূরে মিলায়।
কদমের ডালে বসে ভিজে দাঁড় কাক,
মাঝে মাঝে দিয়ে যায় সকরুণ হাঁক।
যার পথ চেয়ে বসে, নেই তার দেখা,
বৃষ্টিমুখর এ সন্ধ্যা কাটে বসে একা।
আচানক দূরে কোথা ডেকে ওঠে ফেউ,
আমার হৃদয়ে বয় হতাশার ঢেউ।
মনের ক্ষুভিত ব্যথা থেকে নিজ মনে,
নিশ্চুপে নিশুতি রাতে কাঁদে ক্ষণে ক্ষণে।


১৬/০৬/২০২১ ইং