রুগ্ন ছেলে বলল এসে- কাকা,
নিত্য তুমি পুজো করো মন্দির রেখে ঢাকা।
পুজোর শেষে সবাইকে দাও প্রসাদ,
দাও না আমায় একটুখানি গ্রহণ করি ওর স্বাদ!


ঠাকুর মশাই বলল রেগে- দূর হট!
ময়লা মাখা হাত-পা নিয়ে করিস এসে ভটভট!!
জাত-পাতের নেই ঠিক-ঠিকানা তোর!
পুজোর প্রসাদ পাওয়ার জন্য আবদারখানি ঘোর!!
বলি- ঠাকুর কি আর তোদের জন্য বল!
নাম এখনই! মন্দির ধোবো দিয়ে গঙ্গাজল!!


ছোট্ট খোকা কেঁদে ব'লে যায়--
মন্দির তোমার, ঠাকুর সবার-  বুঝলে না তো? হায়!
পুরোহিত! পাইনি প্রসাদ আমি তোমার জন্য,
মানুষ তো নও! হিংসাশ্রয়ী পশু তুমি!! বন্য!!!


১৬/০৬/২০২৩ ইং


পত্রিকায় মাঝে মাঝে এমন ঘটনার বর্ণনা পড়তে হয়। স্বার্থান্বেষী মানুষের সৃষ্ট জাতপাতের বিভাজন ভীষণ কষ্টদায়ক। আমার বন্ধু, অ্যাডভোকেট উৎপল বিশ্বাস, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের নিয়মিত প্রাকটিশনার। সে জাত- পাত এবং বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠস্বর। তাই এই কবিতাটি আমার প্রিয় বন্ধুকে উৎসর্গ করলাম। জাত-পাত, বর্ণবাদ নিপাত যাক।