দালাল চক্রের খপ্পরে আজ বাংলাদেশের হিন্দুরা,
ধড়িবাজ সব বাটপাড়েরা গাইছে ভেদের বদ সূরা।
যুগ যুগ ধরে হিন্দু নারী সম্পত্তিহীন খুব সুখি,
সুখের বাগান লুন্ঠন করে চাইছিস কেন হোক দুখি?
অন্য ধর্মের নারীর দিকে তাকিয়ে দেখ না, মামলা জট!
তালাকের পর তালাক দিচ্ছে সুখ আকাশে মেঘের লট!!


অনূঢ়া সব হিন্দু নারী বাপের বিত্তে নিরাপদ,
বিবাহিতার নিরাপত্তা হচ্ছে কোথায় বল না রদ?
স্বামীর বিত্তে তাদের আছে জীবন সত্ত্ব অধিকার,
হিন্দু নারীর কিসের শঙ্কা? ওরে দালাল! কর না বার।
যেসব নারী ধর্ম ছেড়ে অন্য ধর্মে পগার পার,
ঘুষ খেয়ে তুই তাদের জন্য আইন করতে চাষ? ভাঙবো ঘাড়!
বেপরোয়া কিছু নারী স্বামী ছেড়ে হাওয়া খায়,
বাপের বিত্ত চেয়ে তারাই উল্কা ঝড়ে নৌকা বায়।
ওদের সুখে বিধান করলে সমাজ যাবে উচ্ছন্নে।
তখন হিন্দু নারী সুখি হবে বল না কোন পণ্যে?


হিন্দু নারীর মুক্তি চাইলে ওরে গাড়ল! আছে পথ,
একটু ভেবে সেদিক পানে ছোটা তোদের ভণ্ড রথ!
অনূঢ়া পাক বাপের বিত্তে ভাইয়ের সমান অধিকার,
বিধবা পাক স্বামীর বিত্তে পুত্রের মতো সমান হার।
তবেই নারী বিত্ত পাবে থাকবে নাকো বৈষম্য,
ভাই ও বোনের সম্পর্কটা হবে নাকো অগম্য।
রক্ষা পাবে সমাজ-সংসার, প্রীতি প্রেমের ফুল বাগান,
আঁখি  মেলে দেখ না দালাল ছুঁড়ছে নারী ঝাঁটার বাণ!


২০/০৬/২০২৩ ইং


বিঃ দ্রঃ বাংলাদেশে হিন্দু নারীদের বাপের সম্পত্তির ভাগ দেয়ার জন্য হিন্দু আইন সংশোধনের চেষ্টা চলছে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এর বিপক্ষে অধিকাংশ হিন্দুরা। কতিপয় হিন্দু দালাল উক্ত আইন সংশোধন করার জন্য নানা রকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সে বিষয়ে প্রতিবাদ স্বরূপ আমার এ লেখা।