নাম যে আমার সর্বংসহা সর্ব ব্যথা সই,
একটা কিছু হলে তোদের লাগে যে হইচই।
আমার বুকে হাজার নদী বইছে চিরকাল,
তাই বলে কি আমি কভু হইরে বেসামাল?


কৃষক ফলায় কত ফসল আমার বক্ষ চিরে,
সোনার শস্যে তাদের মুখে হাসি ফোটে ধীরে।
তাদের হাসি আমার বুকে জাগায় শিহরণ,
ব্যথা আমার দূর হয়ে যায় আনন্দিত মন।


হাজার বৃক্ষের শিকড়-বাকড় আমার বুকে গাঁথা,
তোদের বুকে থাকলে এরূপ হতো খারাপ মাথা।
গাছের শাখায় কত পাখি করে কলরব,
ওদের কলস্বরে ভুলি ব্যথা আমার সব।


মৌনমুখী পাহাড় কত আমার বুকে থির,
দাঁড়িয়ে আছে অনন্তকাল বিশাল বড়ো বীর।
ছোট-বড়ো ঝরনা ছোটে ওদের বক্ষ চিরে,
ভুলিয়ে দেয় ব্যথা আমার চটুল ছন্দ নীরে।


মানুষ হয়ে তোরা এতো হিংস্র কেন বল?
মায়ের-বোনের ইজ্জত লুটিস করে নানা ছল।
হিংসা-ঘৃণা ভুলে সবাই করনা বড়ো মন,
ভালোবাসা, স্নেহ-মায়া ধরার শ্রেষ্ঠ ধন।


চন্দ্র-সূর্য সদাই থাকে নীল আকাশের গায়,
স্বার্থবিহীন ওদের আলো তোদেরকে বিলায়।
উদারতার শিক্ষা তোরা ওদের কাছে নিবি,
মন্দ ছেড়ে ভালো কাজে মনটা সবাই দিবি।


দুদিনের এই দুনিয়াতে থাকবি কটা দিন?
আমার বুকে অবশেষে হবি তোরা লীন।
সত্য-ন্যায়ের পথটি ধরে এমনভাবে চল,
তোর বিদায়ে সবার চোখে ঝরবে অশ্রুজল।


১৬/১২/২০২০ ইং