নন্দিনী, কথা দিচ্ছি-- ক্ষুধা আর কষ্ট পাওয়ার  
অধিকার ছাড়া সব দিয়ে দেবো তোমাকে--
হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি, ফেলে আসা শৈশব,
নাটাই ছেড়া ঘুড়ির মতো যা প্রতিনিয়ত
পাক খায় প্রৌঢ়ত্বের দোরগোড়ায়--
উজড় করে দিয়ে দেবো সুখ--
শুধু চাই, এক টুকরো অমলিন হাসি,
অন্ধকার ভেদ করা আলোকিত চাঁদের কণা--


সুপ্রিয়, যদি ভবঘুরে জীবনের দৈন্যদশায় বিরক্ত হয়ে  
ফিরে যেতে চাও সুখ ঐশ্বর্যের বেলাভূমিতে,
ফিরিয়ে নিতে চাও দেওয়া সমস্ত প্রতিশ্রুতি,
দিয়ে দেবো তাও;
বেদুইন মনের কানা গলিতে লুকিয়ে থাকা
ব্যথার পাহাড় গোপন রেখে--
শৈলচূড়া থেকে নেমে আসা ঝরনার মতো
তোমার বিচ্ছুরিত হাসির ফল্গু ধারা
রয়ে যাবে আমার হৃদয়ের অলিতে গলিতে
একান্ত আমার হয়ে, সংগোপনে--


হে, সুহাসিনী! আর যদি বোহেমিয়া জীবনেকে
বেঁধে নাও বাহুডোরে, নির্ভয়ে হাতে রেখে হাত,
সমুদ্রে ডুবু ডুবু দিবাকরের সৌন্দর্য বিছিয়ে নেবো
রোদেলা দুপুরে, বৃক্ষ তলে, ডুব দেবো তোমার রূপ  সাগরে, ঝিঁঝি ডাকা নির্জনতা গায়ে মেখে--
ইতি, তোমার প্রভাত--


০৯/০২/২০২১ ইং