রক্তিম আভা ছড়িয়ে অস্ত যায় দিনমণি,
সাগরবক্ষে ডুবে যায় একখণ্ড অগ্নিগোলক--
নিকষ কালো অন্ধকারে ঢেকে যায় ধরণী।
বাড়ে নিশাচর প্রাণীর উৎপাত--
নিশাচর পশুপাখি নয়; নিশাচর মানুষের উৎপাত--
বাড়ে চোর, ডাকাত, ধর্ষক, বদমাশদের আনাগোনা।
সচেতনতা আর সাবধানতা দিয়ে রোখা যায় ওদের।
কিন্তু প্রকাশ্য দিবালোকে, লোক চক্ষুর সম্মুখে
যারা চুরি করে কলম দিয়ে, ফাইল ঠেকিয়ে
তাদের একটা নাম দরকার--
বলা যেতে পারে "কলমচর"--
যারা দীপ্যমান সূর্যালোক ঢেকে দেয়
নিকষ কালো অন্ধকারে--
কী দিয়ে রোধ করা যায় ওদের?
চাই শিক্ষা, যথাযথ সুশিক্ষা--
কলম ঠেকিয়ে যারা চুরি করে, ঘুষ খায়, মিথ্যে বলে,
মঞ্চে দাঁড়িয়ে মিথ্যার ফুলঝুরি ছোটায়,
লোভের আগুনে ঘৃতাহুতি দেয় বিবেক,
বিদেশি বেনিয়াদের কাছে বেচে দেয় দেশ,
আর যাই বলি--তাদের শিক্ষিত বলা যায়না,
তারা "কলমচর"--
উদ্ভাসিত সুশিক্ষার আলোতে দূর করতে হবে
ওদের মনের অন্ধকার, কু-শিক্ষার অন্ধকার--


সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়;
সুশিক্ষা দিতে হবে বাবা-মাকে--
আর তার জন্য চাই সুশিক্ষিত পিতা-মাতা--
চাই সুশিক্ষিত শিক্ষক--


অন্ধকারের বাসিন্দা কি আলোর পথ দেখাতে পারে?


২৩/০২/২০২১ ইং