প্রতিদিন ভাবি তোকে কল দেবো শেষাবধি আর হয় না,
ভুলো মন খানি ভুলে যায় শুধু এ জ্বালা তো আর সয় না!
এদিকে হঠাৎ গরম পড়ায় শরীর মশাই ক্ষিপ্ত,
অসুখ-বিসুখ সূর্যের মতো হয়েছে ভীষণ দীপ্ত।


অকারণে হাঁচি, টুকটাক কাশি, খানিক সর্দি নাকে,
বৃষ্টির মতো টুপটাপ ক'রে ঝরছে সর্দি ফাঁকে।
গিন্নি বলেন, সকালের হাঁটা বন্ধ রাখো না আজ,
ওদিকে সুগার ওঁত পেতে আছে, সুযোগেই বাড়ে ঝাঁজ।


বয়সের সাথে অসুখের ঝাঁজ অকারণে বেড়ে যায়,
পাত্তা দেবো না যতই ভাবি না- ওদের লাগে না গায়।
তোরও তো সারা বছর সর্দি-ঠাণ্ডা বাজায় বীণ!
বল দিকিন মা, কেমন আছিস? যাচ্ছে কেমন দিন?


জানিস, ভীষণ ব্যস্ত রয়েছি চলছে বাড়ির কাজ,
যত দিন যায় বিরক্তি বাড়ে, অসুস্থতার রাজ।
আমার যখন সময় অনেক সে সময় তুই ব্যস্ত,
তোর অবসরে এই আমি থাকি ঘুমের কবলে ন্যস্ত।


ইচ্ছে নামের পাগলা ঘোড়ার গলায় পড়েছে জিন,
দুঃখ নিস না জননী আমার আসবে সুখের দিন।
পড়ালেখা তোর চলছে কেমন বল তো একটু খুলে?
ব্যস্ত সময়ে থাক না ব্যস্ত- যাসনে কাকারে ভুলে!


২৬/০১/২০২৩ ইং


আমার বন্ধুর মেয়ে "টুম্পা"। বাংলায় এম এ পড়ছে। কাজের চাপে বেশ কিছুদিন ওর সাথে কথা বলতে পারছিলাম না। ওর সাথে কথা না বলতে পারলে আমার ভালো লাগে না। ওর ও লাগে না। বিষয়টি নিয়ে ভাবতে ভাবতে এ লেখার উৎপত্তি। তাই লেখাটা ওকেই উৎসর্গ করলাম।