আষাঢ়-শ্রাবণে খটখটে রোদ চৌচির জমি খেত,
খেয়ালি বর্ষা আড়ালে লুকিয়ে হাতে নিয়ে ছিল বেত।
ক্ষীনাঙ্গী ছিল পোয়াতি শস্য ধুকপুক করা বুক,
কী যে অভিলাষ ছিল বর্ষার! কী যে ছিল তার সুখ!!
ভাদরের মাঝে দেখা দিল হেসে এলোমেলো এলোকেশে,
কখনো কখনো চকমকি রোদ কখনে সে বীর বেশে।
আশ্বিনে হ'য়ে পুরো যৌবনা চালায় বেত্রাঘাত,
কখনো সূর্য উঁকি মেরে চায়, ক্ষনিকের আঁখিপাত।
পোয়াতি শস্য নষ্ট হয়েছে কৃষকের হাহাকার,
রণরঙ্গিনী বর্ষা রমনী থামিতে চায় না আর।
এখানে-ওখানে বন্যার হানা এ কেমন তোর রূপ?
ভাসাবি ভেবেছি প্রেমের জোয়ার, কোথায় মদিরা ধূপ?
এ কোন শরৎ? কোনখানে নেই ধবল কাশের হাসি,
অভুক্ত মন ছেঁড়া মেঘ খোঁজে, স্বপ্ন গিয়েছে ভাসি।
শিশুদের মনে জলকেলি সুখ বুড়োদের শিরে হাত,
দুখিনী জননী বুকে শিশু নিয়ে অনাহারে কাটে রাত।
প্রকৃতি স্বাধীন, আপন সত্তা আপনি প্রকাশে রোজ,
মানুষ বোঝে না, দাপট দেখায়, অবুঝের ভুরিভোজ।


০৪/১০/২০২৩ ইং