প্রেম স্বর্গীয়, প্রেম শাশ্বত,
প্রেমহীন জীবন অচল,
মৃত স্রোতস্বিনীর ন্যায়
নিস্তরঙ্গ,
নির্জীব।
শাশ্বত প্রেমের পীযূষ ধারা
নিবিড় প্রকৃতির গাঢ় আলিঙ্গন,
শান্ত উর্মিমালার ভালে মৃদু চুম্বন।


এই প্রেম
বাহিরকে টেনে এনে সৃষ্টি করে
অমর প্রেমের সুখের আগার।


এই প্রেম
নির্জীব পাথরের বুকে ফোটায় রক্ত পলাশ,
ফুটন্ত মরুর বুকে অঙ্কুরিত করে
সুশোভিত পত্র পল্লব,
সাইবেরিয়ার বরফের বুকে
পুষ্পায়িত হয় শ্বেত পদ্ম,
ঘরমুখো হয় কত সমাজবিরোধী!


আরেক রকমের প্রেম আছে; যা--
সমুদ্রের অশান্ত উর্মিমালা,
নিদাঘ দুপুরের ফুটন্ত মরু,
অশান্ত প্রকৃতির অস্থির উন্মাদনা।


এই প্রেম
ঘরকে টেনে নিয়ে যায় বাইরে,
ধ্বংস করে ঘর, সংসার, সমাজ।


এই প্রেমের দুর্দমনীয় আকর্ষণে
দয়িতের গাঢ় আলিঙ্গন মুক্ত হয়ে
দয়িতা যুক্ত হয় দুর্দমনীয় প্রেষণে,
ভার্যার কোমল বাহুপাশ মুক্ত হয়ে
দয়িত মিশে যায় ফুটন্ত অগ্নি বলয়ে।


এই প্রেমের বলি হয়ে
ভর্তার কোপানলে প্রাণ বিসর্জন দেয়
দয়িতা ও তার প্রেমিক,
জায়া ও প্রেমাষ্পদের হস্তে
অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয় দয়িতের।
এর লেলিহান শিখা থেকে
আযত্ন লালিত সন্তানেরাও রেহাই পায়না।


এই প্রেম জ্বলন্ত ভিসুভিয়াস
যার অগ্ন্যুৎপাতে--
মুহূর্তে ধ্বংস হয়ে যায় শ্যামল, সবুজ প্রকৃতি,
ধুলায় ধূসরিত হয় নির্মল নীলিমা,
সমূলে বিনষ্ট হয় তার পাদদেশে গড়ে ওঠা
জনপদ।


এর নাম 'পরকীয়া'।


পরকীয়ার অগ্নিস্ফুলিঙ্গ যেন
নিদাঘ দুপুরের রবিরশ্মি,
এর নিঃশ্বাসে বিষ, প্রশ্বাসে বিষ,
এ যে সাগর মন্থনে উঠে আসা গরল,
এ যে জ্বলন্ত অঙ্গার।


হে মদনদেব!
বন্ধ কর এ নাগপাশ,
নির্বাপিত করো
এই 'লেলিহান শিখা'!


০৮/০৭/২০২০ ইং।


ভর্তা- স্বামী, দয়িত- স্বামী, দয়িতা- স্ত্রী, ভার্যা- স্ত্রী, আগার- ঘর।