তুমি ছিলে হৃদয় কোণে ভোরের সূর্য হয়ে,
অজানা কোন গহীন রাতে গেছো তুমি ক্ষয়ে।
তোমার আলোয় ছিলাম বিভোর কখন অমানিশা,
মন আঙিনা ধরলো ঘিরে পাইনি কোন দিশা।


মেঘে ঢাকা মনের আকাশ সূর্য অস্তগামী,
হাহাকারের টাট্টু ঘোড়া জ্বালায় দিবস-যামী।
ধুলোর মতো বিচূর্ণ মন আঁধার ঘরে হাঁচে,
দুঃখগুলো মনের খাঁচায় বাঁদর নাচা নাচে।


ভাল্লাগেনা চাঁদের জোছনা, দখিন সমীরণে,
ফুলের হাসি আনে না সুখ দগ্ধ পোড়া মনে।
সরষে ক্ষেতের চটুল ভ্রমর দিচ্ছে বুকে জ্বালা,
ইচ্ছে ঠাকুর বলছে সখা, জীবন থেকে পালা।


চলার পথে এতিম লেড়কি বললো আমায় দেখে,
কে রেখেছে তোমার মুখে মেঘের কাজল মেখে?
জীবন পথে হাজার বাধা দুঃখ সারি সারি,
তাই বলে কি পড়বে ভেঙে? মুখটা করবে হাঁড়ি?


আমায় রেখে বাবা-মায়ে গেছে চলে স্বর্গে,
ক্ষুধার ইঁদুর সামাল দিতে দুঃখ পাঠাই মর্গে।
যুদ্ধ করে জীবন চালাই দুঃখ এখন বাসি,
কর্মের ভেতর ডুবে থেকে দুঃখ-অভাব নাশি।


তার কথাতে বন্ধ মনের জানালা যায় খুলে,
আকাশ জুড়ে এক ফালি চাঁদ উঠে তখন দুলে।
নতুন আশা, উদ্দীপনা মনের ধূসর বনে,
ছড়িয়ে দেয় নবীন আলো ভীষণ সন্তর্পনে।


১০/১১/২০২১ ইং।