আজো চোখে লেগে আছে সেই হাসি মুখ,
খুশির ঝিলিক লাগা অমলিন সুখ।
নির্ঝরের বিচ্ছুরিত বারির পাতন,
আকর্ণ ছড়িয়ে পড়া খুশির মাতন।
ছিল সেদিন বর্ষার রোদেলা দুপুর,
বেজেছিল মনে তার খুশির নূপুর।
ছোট্ট নায়ে ভেসে ভেসে গাহনের কালে,
ছিটিয়ে ছিটিয়ে জল মাখে গালে-ভালে।
শরতের ভেসে চলা সাদা মেঘ মন,
চোখে-মুখে লেগে ছিল খুশির স্বপন।
শিউলির গন্ধ ভরা শিশিরের হাসি
লেগে ছিল ঠোঁটে তার, আজো ভালোবাসি।


তারপর কেটে গেছে অনেকটা কাল,
ভাগ্যের বেহাল দশা আজো বেসামাল।
তটিনীর জল আজো সাগরের পানে,
ছুটে যায় কি নেশায় কী মোহের টানে!
তেমনি মোহের নেশা, খুশির আবেশ
বকুলের মতো ঝরে রেখে গেছে রেশ।
ঝরা শিশিরের মতো ঝরা হাসি আজ,
হৃদয়ের দ্বারে এসে করে শুধু রাজ।
শরীরের ভাঁজে ভাঁজে বিদায়ের সুর,
বেহাগ রাগিনী আর লাগেনা মধুর।
রোদেলা বর্ষায় আজ সেদিনের স্মৃতি,
টেনে এনে মনে দেয় বেদনার প্রীতি।
সেই হাসি মুখ আজো পোড়া চোখে ভাসে,
মনে হয় কাশফুল নীলাকাশে হাসে।
নেই পাশে তবু হাসে হৃদয়ের মাঝে,
মেঘের ভেলায় ভাসা বরষার সাজে।


২২/০৯/২০২১ ইং