এই তো সেদিন বলেই গেলি আসবি না আর ফিরে,
তুলবি না আর শাপলা-শালুক বিলের স্বচ্ছ নীরে।
মাখবি না আর চরণে তোর আমার পথের ধুলো,
কে নাকি তোর নাকের ডগায় ঝুলিয়ে গেছে মুলো।
শহর জুড়ে নিয়ন আলোর রঙ বাহারি ঝালর,
দিবা-রাত্রির বিভেদ ঘুচায়, কী মহিমা আলোর!
টাকা সেথায় উড়ে বেড়ায় ধরতে লাগে বুদ্ধি,
ভাঙা ঘরের মায়া ছেড়ে হয়ে আত্মশুদ্ধি,
সুখের নকশি কাঁথার আশায় ওই শহরে গেলি,
ব্যথার ত্রিভুজ বদন নিয়ে ফিরে কেন এলি?
আজ কেন তোর বদন জুড়ে শাওন মেঘের ভেলা?
কেন রে তোর আঁখি পদ্মে অশ্রু করে খেলা?
লোভের ফাঁদে তবে কি তোর স্বপ্ন গেছে চুরি?
কী হয়েছে আমায় খুলে বল না রে সব নুড়ি!
তোর যে মুখের কথার স্রোতে যেতাম আমি ভেসে,
আজ সে মুখে উঠছে কেন কুজ্ঝটিকা হেসে?
দেখ না চেয়ে ভাঙা ঘরে যুবক চাঁদের হাসি,
আজো হাসে, তোর বিরহে আমিই কেবল ভাসি।
গাছ-গাছালি, পাখ-পাখালি আগের মতই আছে,
নেই শুধু তুই! তোর অভাবের দুঃখ বুকে নাচে।


২৫/১১/২০২৩ ইং


পত্রিকার পাতায় মাঝে মাঝেই দেখতে পাই গ্রামের সহজ-সরল নারী, যুবতী অভাবের নাগপাশ থেকে মুক্তি লাভের আশায় কিংবা উন্নত জীবনের হাতছানিতে দুষ্টু চক্রের পাতা ফাঁদে পা দিয় পরিবার ছেড়ে, ভালোবাসার মানুষ কে ছেড়ে শহরে অথবা বিদেশে পাড়ি জমায়। তারপর তাদের মধ্যে অনেক যুবতী বা নারীর জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। কেউ বা হারিয়ে যায় চিরতরে। কেউ বা ফিরে আসে পরিবার এবং ভালোবাসার মানুষের কাছে। সেই ভাবনা এবং অনুভূতি থেকে এই কবিতা। কারো ভালো লাগলে বাধিত থাকবো।