আপন মনে রাস্তা দিয়ে চলছি একা একা,
পিছন ফিরে হঠাৎ আমি পেলাম এ কার দেখা?
সজ্জিত তার অলক রাশি, নাসারন্ধ্রে নথ,
পাখির মতো ডানা মেলে চলছিল সে পথ।
খোপায় বেলি, কর্ণদ্বয়ে হাসনু হানার দোলা,
মন কাঁপানো এমন দৃশ্য, যায় কখনো ভোলা?
দুধে আলতা গায়ের রঙটি আটপৌরে এক শাড়ি,
চঞ্চল পায়ে আলতা যেন একটু বাড়াবাড়ি।
গাঁয়ের সজীব সবুজ হাসি তার অধরে টানা,
নীলাম্বরের আঁচলে দেয় সতেজ সমীর হানা।
লাজুক হাসির ঝলকানিতে বাঁকা গ্রীবার দৃষ্টি,
শ্রাবণ আকাশ ভেঙে পড়া অঝোর ধারার বৃষ্টি।
হরিণ চপল আঁখির কোণে বিজলি করে খেলা,
বে-খেয়ালে কোন অজানায় ভাসলো মনের ভেলা।
বিবশ এ মন, অবশ চরণ, ভুলে গেছি চলা,
সে চলেছে তারই মতো দুলিয়ে দেহ কলা।
উড়িয়ে আঁচল যায় চলে সে বৃক্ষরাজির আড়ে,
ঠায় দাঁড়িয়ে তারই পানে তাকাই বারে বারে।
সম্বিত ফিরে দেখি সে নেই, কোথায় গেল, সুধা?
আমার মনে জ্বালিয়ে দিয়ে নিদ হারানো ক্ষুধা।


০৯/১০/২০২৩ ইং