সিতু পাগলী, নিতু পাগলী রাস্তা দিয়ে হাঁটে,
ওদের পাল্লায় পড়লে জীবন উঠবে কিন্তু লাটে।
ওদের বাপের কিংবা স্বামীর নেই তো কোন টাকা,
ছোট্ট পোশাক পরে শরীর তাই তো রাখে ফাঁকা।


কিংবা ওদের আছে টাকা প্রতিবন্ধী চিত্ত,
দেখিয়ে শরীর নৃত্য ক'রে চলে রাস্তায় নিত্য।
হয়তো ভদ্র পোশাক পরলে শীতেও বয় ঘর্ম,
তাই তো ছোট্ট পোশাক পরে উদম রাখে চর্ম।


ওরা ভাবে ওসব পোশাক স্বাধীনতার অঙ্গ,
এঁকে-বেঁকে রাস্তায় হেঁটে দেখায় খানিক রঙ্গ।
পোশাক নারীর লজ্জা ঢাকে করে তাদের শিষ্ট,
অসংলগ্ন পোশাক দেখে হয় মানুষ অতিষ্ঠ!


নির্বোধ পশু পোশাকবিহীন যত্রতত্র চলে,
তারা কি আর বোঝে লজ্জা-শরম কাকে বলে?
বুদ্ধিবৃত্তি সম্পন্ন জীব দ্বিপদী এই মানুষ,
লজ্জা-শরম গিলে খেয়ে উড়ায় সুখে ফানুস।


ঘরে যেমন জানলা রাখে আলো হওয়ার জন্য,
তেমন ছোট্ট খোলা পোশাক করে ওদের ধন্য।
কিন্তু ওসব দেখে লাগে উন্মত্ত প্রমত্তা!
আত্মসম্মান বিকিয়ে দিয়ে হারায় নারীসত্তা।


নারী আমার মা-বোন-জায়া করি তাদের ভক্তি,
সমাজ কিংবা রাষ্ট্রযন্ত্রে ওরাই আসল শক্তি।
উগ্র পোশাক মা-বোনের কি পায় কখনো শোভা?
হোক না ওদের পোশাক শালীন, দারুণ মনোলোভা।


০৪/০২/২০২২ ইং