প্রখর রোদের তাণ্ডবে আজ জ্বলে পুড়ে ছাই বিশ্ব,
উষ্ণায়নের প্রভাবে বরফ গলে গলে হয় নিঃস্ব।
আকাশ-বাতাস-ধরণী এখন কী যে নিদারুণ রুষ্ট!
না বুঝে সে কথা দুষ্টু মানুষ হয় যে আত্মতুষ্ট।


শ্রাবণ এখন কাঁদে না অঝোরে শুধুই ঝরায় রোদ,
কৃষক কাঁদেন জলের অভাবে মানুষের নেই বোধ।
হীন স্বার্থের মায়াজালে ভেসে অরণ্য করে সাফ,
মানুষের প্রতি রুষ্ট প্রকৃতি তাইতো করে না মাপ।


শাওন আকাশে ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ এদিকে-ওদিকে চায়,
ঝুপ করে নেমে আবার পালায় খুঁজে পাওয়া তাকে দায়।
বৃষ্টি অভাবে ফসল নষ্ট সব্জির দাম হাই,
আমরা গরিব বাজারে গেলেই আগুনের ছেঁকা খাই।


ঘুষের টাকায় যাদের পকেট ফুলে ফেঁপে ওঠে রোজ,
পলান্নে তারা ভূরিভোজ করে দীনের রাখে না খোঁজ।
ওরা দেশ বেচে, কাঁদায় প্রকৃতি তাই আজ দিকে দিকে,
প্রকৃতি ওড়ায় ধ্বংস নিশান স্বস্তির বায়ু ফিকে।


বদলে গিয়েছে জলবায়ু তাই রুক্ষ প্রকৃতি মূর্তি,
ধ্বংসযজ্ঞে মাতোয়ারা নর আনন্দে করে ফুর্তি।
সারা বিশ্বের ক্ষতি করে ওরা আপন স্বার্থে হেসে,
যে শাখায় বসা, সেই শাখা কাটে কেমন সর্বনেশে!?


০১/০৮/২০২৩ ইং


বিঃ দ্রঃ যখন কবিতাটা লিখেছিলাম তখন বৃষ্টির দেখা মিলছিল না। তবে এখন কোথাও কোথাও প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে।