লেখা-পড়া জানা মানুষ আছে ঘরে ঘরে,
সু-শিক্ষিত লোকের অভাব এই ধরণী পরে।
শিক্ষা-সনদ অনেক আছে বিদ্যা নেই তো পেটে,
মামুর জোরে চাকরি জোটায় গরিব মরে খেটে।


কিছু লোকে চাকরি জোটায় বাপের টাকা দিয়ে,
গরিব ছেলে চাকরি খুঁজে বিদ্যা-বুদ্ধি নিয়ে।
এই জামানায় টাকা ছাড়া চাকরি পাওয়া কষ্ট,
না থাকলে ওই টাকা, মামু বিদ্য-শিক্ষা নষ্ট।


মামার জোরে, টাকার জোরে চাকরি যারা লভে,
জনগণের কথা ভাবার সময় তাদের হবে?
বিদ্যাহীনে চাকরি পেয়ে করছে দেশের ক্ষতি,
আপন স্বার্থে দেশ ডুবিয়ে আছে সুখে অতি।


দেশের স্বার্থ ওদের কাছে অতি বড়ো তুচ্ছ,
ঘুষের টাকায় পকেট ভরে নাচায় আপন পুচ্ছ।
এই ধরনের চাকরিজীবীর মন্দ ব্যবহারে,
জনগণের ভোগান্তি হয়, জোটে ধাক্কা ঘাড়ে।


ভাবটা দেখায় ওরাই দেশের সবচে বড়ো কর্তা,
গরিব-দুঃখীর নথি আটকে খাচ্ছে টাকা ভর্তা।
গরিব-দুঃখী পেটের দায়ে করে ছোট্ট চুরি,
পুকুর চুরি করে এরা ভরছে আপন ঝুড়ি।


ছোট্ট চোরকে ধরে নিয়ে পুলিশ ভরে জেলে,
পুকুর চোররা টাকার জোরে বাইরে হোলি খেলে।
এমনি করেই চোর-বাটপাড়ের চলছে মহোৎসব,
ধোঁকা খাওয়া গরিব মানুষ করছে কলরব।


ঘরে-বাইরে সর্বক্ষেত্রে এদের দাপট বেশি,
মান বাঁচাতে ভদ্রলোকে সামলে রাখেন পেশি।
সবাই মিলে এদের গলায় পড়াই এসো দড়ি,
মিলেমিশে, ভালোবেসে সোনার দেশটা গড়ি।


২৩/১২/২০২০ ইং