উগ্র হিন্দু কিংবা মুসলিম কেউ নয় রে ভালো,
সব অসুস্থ দাঁতাল, মাতাল অমাবস্যার কালো!
নিজের ধর্মের ঢাক পেটানো নয়তো মন্দ কর্ম,
অপরের ধর্মকে সম্মান করাও সুশীল ধর্ম।
আপন ধর্মের ভালো মন্দের পারলে বিচার করো,
নর্দমাতে নেমে কেন পরের ত্রুটি ধরো?
বিষ ছড়িয়ে 'উগ্র' বলে দাও অন্যকে গালি,
সেই তুমিই তো উগ্রবাদের সত্যিকারের মালি।
পরনিন্দা, পরচর্চার ঝাঁপি করো বন্ধ,
যে খুঁজে না নিজের ত্রুটি সে তো মূর্খ, অন্ধ!
কাকের মতো চক্ষু মুদে রেখে কিছু ঢেকে,
সব মানুষকে অন্ধ ভাবলে মুর্খামি যায় পেকে।
সময় এলেই অহংকারের ভাঙবে উগ্র ডানা,
হাপিত্যেশের সমাধিতে করবে শুধু না-- না--!
আবর্জনার স্তূপে জল ঢালছো দিবস রাতি,
ছড়াচ্ছে সে দুর্গন্ধ রোজ নিভিয়ে সুখের ভাতি।
অপর ধর্ম, ধর্মের লোককে সম্মান করলে তুমি,
বিনিময়ে বিপুল সম্মান যাবে তোমায় চুমি।
মানুষ সৃষ্টির হাজার হাজার বছর পরে ধর্ম,
এসেছে এই পৃথিবীতে হয়ে সমাজ বর্ম।
লক্ষ্য ছিল মানব কল্যাণ, বিশৃঙ্খলা রোখা,
কিছু শকুন স্বীয় স্বার্থে দিয়ে গেছে ধোঁকা।
নিজের কথা স্রষ্টার নামে চালিয়ে গেছে চলে,
মূর্খরা সেই নষ্ট পথেই চলছে খুশির ছলে।
ধর্ম হলে স্রষ্টার সৃষ্টি আসতো একই সঙ্গে,
একটি ধর্মের মানব হয়ে মিশতো অঙ্গে অঙ্গে।
থাকতো নাকো ধর্মে ধর্মে হানাহানি ভেদ,
সবাই হতো সবার আপন থাকতো নাকো খেদ।
ভালো-মন্দ জ্ঞান বিলুপ্ত নির্বুদ্ধিতার খেলা,
আসল সত্য না বুঝে তাই সবাই কুড়ায় ঢেলা।
ধর্ম মানে মানব কল্যাণ হিংসা বিদ্বেষ ছাড়ো,
নিজের ভালো চাইলে পরের ভালোর পথে বাড়ো।


০১/০৫/২০২৪ ইং