ছোট্ট বেলায় মাকে হারায়
ছোট্ট সোনা রিতু,
কারো বেশি আদর পেলে
হয় সে বড়ো ভীতু।


সোহাগিনী মা যখন তার
গেছে স্বর্গে চলে,
বয়স তখন দুই ছিল তার
কথা খানিক বলে।


আধো আধো মুখে শুধু
বলতো সে  মা মা,
পিতৃদেবের কষ্ট হতো
লাগতো বুকে ঘা।


একটু বড়ো হয়ে রিতু
ধরলো মায়ের বায়না,
হেথায় খোঁজে হোথায় খোঁজে
মাকে তো আর পায়না।


রিতুর এমন কাণ্ড দেখে
করলো বাপে বিয়ে,
নতুন মাকে পেয়ে রিতু
উঠলো কোলে গিয়ে।


প্রথম প্রথম নতুন মায়ে
করতো ওকে আদর,
এমনি করে কাটে কদিন
এলো মাসটা ভাদর।


নতুন মায়ের বাচ্চা হবে
পড়ে গেলো ধুম,
রিতুর আদর যায় ফুরিয়ে
পাচ্ছে না আর ঘুম।


নতুন মায়ের কোলে এলো
একটি ছোট্ট ভাই,
রিতুর খুশি ধরে না আর
চোখেতে ঘুম নাই।


মা যে এখন বাসেনা আর
আগের মতো ভালো,
দিন রজনী শুধুই বকে
মুখটি থাকে কালো।


ছেলে পেয়ে মায়ের মনে
খুশির জোয়ার বয়,
স্বামীর কাছে খালি খালি
রিতুর দোষ সে কয়।


নতুন করে রিতুর মনে
মাকে মনে পড়ে,
নতুন মায়ের বকা শুনে
চোখেতে জল ঝরে।


কারো আদর ভালোবাসা
লাগেনা আর ভালো,
অশ্রুসিক্ত চোখে বলে
নিভুক আমার আলো।


মাগো তুমি যেথায় থাকো
যাও না আমায় নিয়ে,
নীল আকাশের তারা হয়ে
থাকবো সুখে গিয়ে।


২৫/০৭/২০২০ ইং


(স্বরবৃত্ত ছন্দ)