হাঁটতে হাঁটতে চলতে চলতে গেলাম তোমার গাঁয়,
সেথায় রাঙ্গা ময়ূর নাচছে নিবিড় বনের ছায়।
জারুল গাছের নিচের ছায়ায় একটি ভীষণ ষাঁড়,
ময়ূর নাচার দমক দেখেই নাড়ছে সে তার ঘাড়।


গাছের শাখায় ফিঙ্গে মশায় জুড়ছে গানের সুর,
ময়নাটা ওই বনের পাশেই দুলছে খানিক দূর।
সুরের ছন্দে ময়না, দোয়েল দিচ্ছে তুমুল নাচ,
ষাঁড়টি তখন রাগের মাথায় ভাঙছে জারুল গাছ।


গানের, নাচের এমন ছন্দে মারছে বানর উঁকি,
শ্যামা, বুলবুল দুলতে দুলতে নিচ্ছে ভীষণ ঝুঁকি।
অশ্ব নাচছে, হস্তি নাচছে, সঙ্গে নাচছে মউ,
ঠাকমায় এসে বলল তখন এমন কেনরে বউ?


তোমার নাচের হল্লা দেখেই হাসছে দুষ্টু প্যালা,
দিনের বেলায় সুযোগ পেলেই বাজায় খমক ম্যালা।
পৌত্র আমার দেখলে তোমার এমন ধারার কাজ,
আস্ত কিন্তু থাকবে না আর ঘরের কিচ্ছু আজ।


খুশির জোয়ারে ভেসে নাতবউ ঠাকমাকে দেয় টান,
টানের চোটেই বুড়ির তখন যাচ্ছে যাচ্ছে প্রাণ।
এমন সময় হঠাৎ পৌত্র দেখে এসব কাণ্ড,
রাগের মাথায় জোরসে চেঁচায় ভাঙ্গে নানান ভাণ্ড।


হস্তি, অশ্ব ভয়তে পালায় যেদিক সুযোগ পায়,
পাখিরা সবাই মনের দুঃখে বলছে তখন হায়!
এমন আজব আড্ডা কোথায় দেখেছ কখন বলো?
নাতির কাণ্ডে লণ্ডভণ্ড চলরে সবাই চলো।


এমন সময় হঠাৎ সামনে উদয় তোমার মুখ,
লণ্ডভণ্ড কাণ্ডে পেলাম দারুন মজার সুখ।
তোমার গাঁয়ের এমন আমোদ থাকলে সকল গাঁয়,
হিংসা, ঘিন্না ভুলবে সবাই ভাসবে সুখের নায়।


০৯/০৭/২০২০ ইং


মাত্রাবৃত্ত ছন্দ
মাত্রা- ৬+৬+৬+২।