সর্বশেষে অনায়াসে নিয়তির হাতে,
সঁপে দিতে হবে প্রাণ বিনা অজুহাতে।
জীবনের এই বোধ ভূলুণ্ঠিত প্রায়,
অপকর্মে মত্ত জীব সুখে গান গায়।
জোছনার বুক চিরে কেড়ে আনে হাসি,
পদাঘাতে বেদনার ঝরে অশ্রু রাশি।
বৈকল্য মনের নেশা মেটে না তো, হায়!
তেজদীপ্ত তপনের তেজ পেতে চায়।
কমনীয় কামিনীর লাবণ্যের সুখ,
দন্ত ও নখরে কেড়ে বাড়ায় অসুখ।
মোহময় জীবনের কামনার তাপ,
বার্ধক্যের হোমানলে বাড়ায় সন্তাপ।
তথাপি হয় কি কারো চৈতন্য উদয়?
বিবেক দর্পণে দেখি শুধু অবক্ষয়।


১২/১১/২০২৩ ইং


বিঃ দ্রঃ "জোছনার বুক চিরে কেড়ে আনে হাসি"- বলতে অল্পে তুষ্ট সাধারণ মানুষের হাসি-খুশি কেড়ে নিজের মুখের হাসি ফোটায় সমাজের একদল পাষণ্ড! আর
"পদাঘাতে বেদনার ঝরে অশ্রু রাশি"- বলতে দুঃখ ভারাক্রান্ত অনাহারী মানুষের পেটে লাথি মারে যেসব পাষণ্ড তাদের কথা বলা হয়েছে।