"যখন কিছুই নিয়ম মেনে চলে না
তখন অবসাদ জিনিসটা একটুকরো রোদ হয়
তামাম অরাজকতার হিমশীতে কাঁপন কমাতে
আলোর উত্তাপ কতোটা কমনীয় তুমি জানো??
সাধারণ বিষয় খানিকটা অসাধারণ চোখে দেখো
দেখবে, দুর্বার ডগায় শিশির বিন্দু তখন হীরের মত লাগে
ব্যাপারটা দারুণ কিন্তু, না?"


আপনি আমাকে এসব কি বলছেন?


আবির মাথা তুলেই ভ্রু কুচকে শায়লাকে জানালো, তাহলে কি বলবে?ওপাশে কোনো উত্তর নেই। শায়লা চুপ।


"বেমানান সম্পর্কের কি আর নাম হয়
কেনইবা তবে অধিকার থাকবে
দেখা করাটা মায়া কমানোর অভিনয়
তেল শেষে তো কুপিও নিভে যাবে।
তুমি দুইয়ে দুইয়ে চার করো
আর আমার হিসেবে দুইয়ে দুইয়ে বাইশ হয়
ব্যবধান কতটা বুঝতে পারো?
কেনো নিষেধ সত্যেও পেতে চাও প্রশ্রয়।
ক্ষনিকের অতিথি সে তো যাযাবর
এই আছে এই নেই বলতে যা বুঝায়
আপন ভাবছো কাকে যে আদতে পর
তোমার চুপ করে থাকাটা বড্ড ভাবায়।"


শায়লা খানিক বাদে মুখ খুলে,
"একটু চুপ হয়েই দেখুন না
কেউ নেবেনা খোঁজ,
দিনশেষে দেখা যায় প্রিয় মানুষগুলোই নিখোঁজ।"


"ও তাই!! প্রিয় মানুষ বলছো,
নশ্বর পৃথিবীতে প্রিয় কিছুই হয় না
জাগরণের স্বপ্নে খামোখা মরিচীকা দেখছো
ধরি ধরি করেও যারে ধরা যায় না।
প্রিয় পোশাক সব আলমারিতে সাজানো
পাখিটাকেও রেখেছো খাঁচায় আঁটকে
প্রিয় বইগুলোতে ধুলো জমেছে কবে যেন
শোকেস বন্দী প্রিয় ভেবোনা আমাকে।।
আমি উন্মুক্ত ডানায় প্রজাতি হই
প্রিয় বলেই তো সবাই ডানা ভেঙ্গে দেয়
একতরফা অত্যাচার সেতো প্রিয়'র জন্যই
মরে গেলে সব শেষ, কে বা কার খোঁজ নেয়!"


"তাহলে মরে যাও!"


এই বলে শায়লা বসা থেকে উঠে চলে যায়। আবির আরেকটা সিগারেট জ্বালাতে ব্যস্ত।



কলমেঃ রনি পারভেজ (#JD)