হ্যাঁ,
একটা শালিক দেখলাম,
বহুদিন পর,
ভাবিনি আর কোনোদিনও দেখা হবে।
সূর্যের মৃদু আলোয় সে উড়ে এসেছে বাড়ির উঠানে।
দেখে খুব মায়া হলো, ভাবলাম ঘরে এনে রাখি।
কিন্তু, তাতে সে তার স্বাধীনতা হারাবে,
কারোর স্বাধীনতা হরণ করার দুঃসাহস আমার নেই।
তাই পারিনি!!
দু'চোখে তার হতাশার ছাপ!
জানিনা আর কতদিন থাকবে এই পৃথিবীতে!
তাকে দেখে প্রফুল্ল অনুভব করলাম।
কথিত আছে, জোড়া শালিক দেখলে নাকি শুভ।
কিন্তু আমি এই বিজোড়েও খুশি।
দেখার সাধ আমার হাজার শালিক!
কিন্তু তা দেখার ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই!
কালো মাথার ছোট্ট পাখিটি হয়তো
থাকতে থাকতে হারিয়ে যাবে কালের গর্ভে।
আসলে কালের গর্ভে নিক্ষেপের পেছনে এই মানব সভ্যতা॥
নিজেকে আয়নার সামনে দাঁড় করাতে লজ্জা লাগে।
আয়না থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে —
এই ছুটে যাই প্রকৃতির কোলে।
নেই সুখ! নেই শান্তি!
দেহ থেকে যেন অঙ্গ বিচ্যুতি ঘটেছে।
সেই অঙ্গের একফালি আজ আমার উঠানে,
উপায় নেই! অঙ্গকে হাজার বার জোড়া লাগালেও
দাগ তো থেকেই যাবে।
বিকলাঙ্গ প্রকৃতির এককোণে এই ছোট্ট শালিকটি
আর কতদিন-ই বা হৃদস্পন্দন সচল রাখবে।
হয়তো এটাই শেষ দেখা!
তাই আমি বিজোড়েও খুশি।
কেননা শালিক এখন দেখতেই পাইনা॥
(রচনাকাল: ১০/১১/২০২৪)