জেনেছ কি কখনো!
একা, তোমার ছায়া পাশে নিয়ে আমি হেঁটেছি কতদূর।
কত শত ব্যস্ততা ভুলে, কত জনের জটলা ভেদ করে!
পার হয়ে কত আঁধার সমুদ্দুর!
বল! শুনেছ কি কখনো।
শেষ শীতের ঝরা পাতার ভাঁজে ভাঁজে জমিয়ে রাখা আবেগ গুমরে কেঁদেছে যখন।
ভেবেছ কি  কখনো তুমি!
ওপারে যাবার আগে, দূর আকাশের তারা হয়ে জ্বলবার আগে!
জাগে নি কি একটুও ভয়, খুব জানতে ইচ্ছে হয়।
জেনেছ কি কখনো তুমি?
অধরা হবার আগে।
আমি খুব ইচ্ছে হয় জানতে।  
গিয়েছিলাম তোমার ওখানে।
লোকে যেটাকে কবরস্থান বলে।
ওখানে নাকি রেখে আসে, শ্বাস বন্ধ হলে।
হৃৎপিণ্ডটা নাকি থেমে যায়।
আমার আমিটা কোথায় যেন হারিয়ে যায়।
শরীরটা নতুন একটা নাম পায়।
জলজ্যান্ত ফুলের মত তুমিটা নাকি পড়ে আছ সেখানে।
আমি বলি এ আমার অবিশ্বাস। আমার চেতনা। আমার যন্ত্রণা আমার বিশ্বাস জানে।
জলজ্যান্ত ফুলের মত তুমিটা, ধুকপুকানি শব্দ করে।
খুব আদরে, খুব যতনে। একলা জেগে আমার বুকের মধ্যখানে।
তবু কেন জানলে না তুমি।
ওখানে যাবার আগে, দূর আকাশের তারা হয়ে জ্বলবার আগে।