ধরো শুয়ে আছো বিছানায়
ঘুটঘুটে রাত, ঘড়ির কাঁটা তিন ছুঁইছুঁই
খোলা জানালা ধরে বইছে বাতাস
উড়ছে পর্দা,
বৈদ্যুতিক সংযোগ ঘুমের মত বিচ্ছিন্ন;
ঠিক তখনই-
দেয়ালের ওপর ছায়া পড়ে কার ?
এপাশ-ওপাশে ফিসফিসানি
কোথাও কেউ নেই ।।


ফিরে তাকালে জানালার দিকে
চাঁদের আলোয় থমকে গেছে শহর,
হঠাৎ করেই যেন বিছানায় কোন এক শব্দ
আনাগোনা অনুভব করতে পারছ তুমি-
কম্পমান চোখে তাকালে- কেউ নেই ।
দম বন্ধ হয়ে আসা ঘরে
কার যেন খিলখিল হাসি, দূরে কোন এক বেড়ালের কান্না
জানালায় তাকালে ফের-
সহসাই একটা ছায়া কোথায় যেন পালিয়ে গেল
মনে হচ্ছে ঘরেই আছে কোথাও
তোমাকেই দেখছে,
জানালা ধরে, বালিশের পাশে অথবা চাদরের ভেতরে
কেউ তো আছেই তবু-
কোথাও কেউ নেই ।।


শিউরে উঠছে শরীর, থমথমে রাত
এদিক ওদিক তাকাচ্ছো, কেউ নেই কোথাও
সুনসান ঘরে একা একা তুমি;
হাড়ের ভেতর জড়তা, হিম শরীরে
বেয়ে চলেছে ভয়াল রাতের অবাধ্যতা ।
নাহ, কেউ নেই- শুধু শুধু ভয় !
উঠে বসে তাকালে এদিক ওদিক-
অযথা ছিল সব, কোথাও কেউ নেই
মুচকি হেসে বাতি জ্বালাতে পা রাখলে মাটিতে
ওমনি খাটের নিচে কে যেন ধরে বসলো পা;
চারদিকে শুধু অট্টহাসি- হা হা হা !!
কোথাও কেউ নেই ।।



- জিহান আল হামাদী
১লা জুন'২০১৩