ঝিরি ঝিরির নিখোঁজ সিঁড়ি হড়পা এলে পরে
আষাঢ় এখন ভাসার লাগি ভিক্ষা করে মরে।
ভিক্ষা করে কারখানাতে ভিক্ষা করে রোডে
জল শুকালো জলপথে তাই বর্ষা কাঁদে বোডে।
চর নেমেছে নদীর ঘাটে, তৃষ্ণাতে তাও বালি
শুকনো পাড়ে বারে বারে গল্প বাড়ে খালি।
বছরগুলো চোখেই ধুলো দিতেই দিতে বাড়ে
হঠাৎ আবার খেয়াল হলে বন্যা চাপায় ঘাড়ে।
দোষটা কাহার খোঁজের বাহার সম্মেলনে জমে
গল্প চলে আষাঢ়ে সব, ভোগান্তি না কমে।
ভোগান্তিটা ভোগ বিলাসে, ছাড়তে কি আর পারি?
পথ দেখাবে যার আছে ঢের--- এসি, বাড়ি, গাড়ি।
একটা ছেলে গুড় খেত খুব, মা এলো মোর কাছে
বলল বাছা বোঝাও তো গো, বিধান তোমার আছে।
দিন সাতেকের সময় চেয়ে আমার কাছে ডাকি
সটান বলি খাওয়া ক্ষতি গুড় ঝোলা বা চাকি।
অবাক মাতা তুমি যা-তা এই উপদেশ সেদিন---
চট করে তো পারতে দিতে প্রথম আসি যেদিন।
গল্প এখন অল্প দিলে শুনবো না তো বাছা
দুষ্টু ছেলে না বুঝে ইশ খুলবে তোমার কাছা!
খানিক হেসে অবশেষে যত্ন নিয়ে বলি
গুড় ছেড়েছি এই কদিনে, সত্য পথে চলি।
পথের ধকল বলছি সকল পথচারীরা ধরে
চর নেমেছে নদীর ঘাটে, জল উঠেছে ঘরে।