সূর্য থেকে চুয়ে পড়া গরল পান
নিয়মিত অযাযিত।
ঘামে ভেজা লোমশ শরীর
স্যাঁতস্যাঁতে চট্‌চটে আদর
আর পারফিউম!


সানগ্লাস-চোখে মরীচিকা ভ্রমণ আর
আগুনের ফুলকি চুম্বনে
ছাতার ছায়া খোঁজা।
কপাল গড়ানো ঘামের স্বাদে
হঠাৎ-ই চমক!


অসহ্য তৃষ্ণায় কুঁকড়ে ওঠা শরীর
কণ্ঠে শব্দ শুকায়।
বোতলবন্দি ঠান্ডায় অতৃপ্ত চুমুক
ছাদে বসা জলের ট্যাঙ্ক
তবু অসহায়!


ধোঁয়া ওঠা রাজপথ নিরবে ঘুমায়...
ফুটপাতে ক্ষুধার্ত ভাতঘুম;
তবু ট্রামের নাক-ডাক।
পায়ে-কংক্রিটে ঘষাঘষি
স্যান্ড্‌উইচ জুতোর খোলস।


ঘামে আর ঘুমে জর্জরিত আমি
ভিজে পিঠ গোমড়ায়।
বাসে ট্রেনে শরীরের লোফালুফি
হাতের পাঁচ লোহার রড--
অশালীন পিছল!


কালোলাভার স্রোতে আমার শহর
দম ছাড়ে গঙ্গা-পাড়ে।
জীবনে থেকেই জীবনের খোঁজ
ইতিউতি ছড়ানো প্রেমিক যুগলের
আলস্য চুম্বনে!



----ঝন্টু মণ্ডল . ১২/৪/১৩ -৫pm