হে ঈশ্বর...
তুমিতো আসোনি কাছে
দিনরাত ঘাম ঝরানোর মাঝে
মন-ধন-প্রাণ সময়ে লগ্নি করে
আসছি তোমার কাছে---পরলোকের দুয়ারে।
একচোখে গভীর খাদ
অন্যচোখে পাহাড়ে আকাশ ছয়াঁদ
সামনে তোমার পদধ্বনি
বিশ্বাসে ধরেছি যারে।
মায়াবী মেঘ ক্রমশ গাঢ় হয়
আবেশে চোখ ভরে।


উপরে শ্বাস-কষ্ট?
অনিয়মে অপুষ্ট
পাহাড় ভেঙে নেমে এলে তুমি
কোলে আমি!
বিশ্বাসী মেঘের অবিশ্বাসী ফাটলে
লুকানো যত আক্রোশ টলে
রুদ্রপ্রয়াগে রুদ্র-রূপ---
অনভ্যাসে দম আটকায়
এই বুঝি পরলোক!
এই বুঝি সুখ!


হে ঈশ্বর...
তুমিতো দাওনি দেখা।
তিলের হিসেবে ক্ষয়ীষ্ণু জীবন চাকা
শেষের ভ্রূকুটি
তবুও দু-একটি
প্রার্থনা যদি হতো কবুল;
মা-ভাই-বোনে ভরা সংসারে
হয়তো আজও থাকতাম আমি
সমূল!


হয়েছে স্বর্গত্ব-প্রাপ্তি।
মৃত্যু বলেই জানতাম আজাবধি!
সমতল হতে দুর্গম পাহাড়ে
বিসর্জনে নিদ্রা-আহারে
এসেছিলেম মাতৃ-স্বপ্ন-পূরণে
তোমার একটু ফুল-চরণে
যদি ফিরতে পারতাম সশরীরে!
হে ঈশ্বর...
এই কি স্বপ্ন-পূরণ?
এই কি দর্শন?
মাতৃ-মন যে উত্তর চাইবে হাহাকারে!


----ঝন্টু মণ্ডল . ২৫/০৬/২০১৩ -৭pm