রাস্তার বুকে প্রতিটি পদক্ষেপে এক অদ্ভুত অনুরণন,
চারপাশের মুখগুলো যেন ক্লান্তিহীন এক যান্ত্রিক চক্রে আবর্তিত।
হঠাৎ, কারও দ্রুতগতির ছুটে চলা,
সে কি পালাচ্ছে সময়ের অতল গহ্বর থেকে?
নাকি অদৃশ্য কোনো উদ্দেশ্যের টানে ছুটছে?
আরেকজনের ভারসাম্যহীন পদচারণ চোখে পড়ে,
মনে হয়, তার প্রতিটি পদক্ষেপ যেন সময়ের ভারে বিপর্যস্ত।
আমি তাকিয়ে ভাবি,
আমারই কি পথচলা এতটা অবিচল?
নাকি আমার অন্তরাত্মার গোপন বোঝাও তাকে প্রতিফলিত করছে?
ফুটপাতের ধারে দুটি মুখ,
সংলাপ নয়, বরং নীরব দহন।
আমি অনুভব করি,
আমার মনের গভীরেও যেন কোনো এক অদৃশ্য বিরোধ টিকে আছে।
নিজেকে প্রশ্ন করি,
“তুমি কি কঠিন ছায়াগুলো পেরিয়ে আসতে পেরেছ?
নাকি আজও অপরিণত স্বপ্নগুলো বুকের মধ্যে টেনে চলেছ?”
এক কোণে দেখি ফুলকপি,
জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছে করে,
“তুমি কি প্রকৃতির শোভা হয়ে বাঁচতে চেয়েছিলে?
নাকি সৃষ্টিকর্তার পরিকল্পনায়
তোমার বর্তমানের ভূমিকা চিরস্থির ছিল?”
তার নীরবতা বেশ কঠিন উত্তর বটে!
গাড়িগুলোর অবিশ্রান্ত গর্জন রাস্তা জুড়ে প্রতিধ্বনিত হয়,
তার চাকার তলায় প্রতিটি মুহূর্ত নিস্তব্ধে বিলীন।
আমার ভেতরের কণ্ঠ বলে,
“এই দ্রুতগতির শহর কি তোমার আত্মার প্রতিফলন?
নাকি তুমি এর ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছ?”
সন্ধ্যা আসে ধীরে, আকাশে মিশে যায় অস্তগামী আলো।
আমি ফিরে আসি আমার নীরব কুঠুরিতে।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখি,
চোখের গভীরতায় প্রশ্ন জাগে।
“তুমি কি জীবনের অর্থকে ছুঁতে পেরেছ?
নাকি আজও প্রতিধ্বনির মাঝেই
তোমার উত্তর মিলে মিশে যাচ্ছে?”
আয়নার প্রতিফলনে এক নিঃশব্দ হাসি ফুটে ওঠে।
হয়তো উত্তরগুলো সবসময় ছিল,
কিন্তু আমি তাকে ছুঁতে সাহস করিনি।