শিহরণ জাগিয়েছিলে স্বাধীনতা তুমি এই বাঙালির বুকে,
আজও শিহরিত  হই  আমরা তোমাকে অর্জনের সেই গৌরবে,
তেরো লক্ষ তাজা প্রাণ আর চার লক্ষ সম্ভ্রম,
বৃথা যায়নি এ ত্যাগ;হে আমার মা-ভাই-বোন-স্বজন,
পরাধীনতার শৃঙ্খলতায় বাঁচতে চায়নি বাঙালি,
অসীম সাহসে রিক্ত হস্তে ছেড়েছে নিজ ঘরখানি,
হাসতে হাসতে দিয়েছে প্রাণ;থাকবেনা অবদমিত,
রক্তবিন্দু দিয়ে লড়েছিল তারা;মুক্ত বাতাসের জন্য।


অস্ত্র-সাহস-আশ্রয়-সমর্থন দিয়েছিল বিশ্ববাসী,
গান-কবিতা-ছন্দ-সুরে পাশে ছিল শিল্পীগোষ্ঠী,
বাধা-বিপত্তিও নেহাত কম ছিল না সেই দুর্দিনে,
রহস্যময় গল্পের মতোই নয় মাসের লড়াইয়ে।


অবশেষে বলিষ্ঠ নেতাদের নির্ভীক পদক্রমে-
বাংলার মানুষের অসম সাহসের রুদ্ধশ্বাসে-
ন্যায়ে-নীতির সঠিক ক্ষমতার পালাক্রমে-
অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা বটে!


কষ্ট,দুঃখ ভুলে বাঙালি করেছিল বিজয়োল্লাস,
বেরিয়ে এসেছিল অনেক না জানা লাশের কঙ্কাল!


মুখরোচক বাণী নয়, স্বাধীনতা সত্যিই তুমি শিহরিত!
নতুন প্রজন্মের অবমাননা গাঁয়ে মেখো না আদৌ।


রক্তে রাঙানো শিহরিত একাত্তরের স্মৃতি
হয়তো তা নিজ দেখা নয়-হয়তো বিস্মৃতি!


আজ আমরা স্বাধীন জাতি,তবু আমি শিহরিত,
স্বাধীনতার আদর্শে পড়ছে লুকায়িত ধুলো!


পুরাতন অবলম্বনের শিহরণ দিনে দিনে হয় লুপ্ত,
আমরা বাঙালি,স্বাধীনতার শিহরণ কভু হতে দিবো না অবলুপ্ত।