ভালো লাগা সকালটায় এক কাপ চা হাতে নিয়ে,
এখন আর পত্রিকার পাতায়
চোখ ভুলাতে ইচ্ছে করে না।
চারদিকে অপেক্ষমান ভৌতিক ঘোড়ার পিঠে চড়ে
স্বপ্ন দেখা মানুষগুলোর স্বপ্ন,
কুয়াশায় ধোঁয়াটে।
দৃষ্টিহীন অমাবস্যা আজ ছড়িয়ে পরেছে
শহরে গ্রামে এমন কি মানুষের মনে।
মৃত্যুর ষ্টেশন এ গাড়ি এসে থামছে প্রতি সেকেন্ডে,
কাকে কখন এরা বিতারিত করবে জানা নেই।
চায়ের কাপ হাতে পত্রিকার প্রথম পাতায়
মানুষের হাহাকারের ব্যকুলতার সেই চিত্র,
আমার অস্তিত্বের সীমা টানে।
আমি বাঙালী কিংবা রোহিঙ্গা বুঝিনা
আমি বুঝি মানুষ এরা।
আমার মতোই সুখ দুঃখের স্বপ্নে বিভোর।
এদের বাঁচাতে কেউ এগিয়ে আসবেনা
প্রয়োজনে উত্তাল সাগরে ফেলে দেয়া হবে,
যেন সাগরের সোনালী বালি তাকে বুকে টেনে নেয়।
নিশ্চিহ্ন করে ফেলে, প্রমানহীন করে দেয়।
অথচ সে কারো প্রিয়-প্রিয়তম।
প্রতিবেশী পুরুষ নারীর এ বিশাল বিহারে
তারা আজ মমতাহীন।
শব্দহীন পত্রিকার পাতার আব্দারের মতো
শব্দময় এই আমার আকুতি,
মানুষ গুলোকে বাঁচাতে
এখন ই ব্যবস্থা নিন।
সমুদ্রচ্ছাস যেন এদের স্মৃতিকে বিস্মৃতি না করে।
এদের রক্ত মাংসকে গিলে
শুন্যতা গেঁথে না দেয়,
শত সহস্র পরিবারকে।