আবার কি ফিরে পেলাম সেই সেকালের অতীত
আকাশ ঘিরে কালো মেঘের মনে ধরানো ভীত ,
কালবোশেখী ঝড়ের তাণ্ডব ধ্বংস নাচন প্রলয়
টিন টালি আর খোড়োচাল উড়ে হতো কত লয় ।


গাছপালারা নাড়তো মাথা পাগল দশার মতো
গাছের ডাল পড়তো ভেঙে আম পড়তো কতো ,
ঝড়ের দাপট তুচ্ছ করে হাজির গাছের নীচে
টুপটুপাটুপ আম কুড়ানো দিনগুলো নয় মিছে ।


মা ছিল সেই বেলার সাথী আর ছিল ভাই বোন
পাড়ার ছেলে জুটতো এসে দৌড়াতো সব কোণ ,
থেঁতলে যাওয়া আম কুড়িয়ে ভ'রে যেত ঝোলা  
অতীত কথার ভিড়ে হারিয়ে ভাবুক আত্মভোলা ।


কড় কড়া কড় বাজ পড়তেই ভয়ে কানে হাত
কালো মেঘের বক্ষ চিড়ে বিজুলীর কষাঘাত ,
এমন সময়ে মুষলধারে নামতো বারিষ ধারা
ঠুক ঠাক ঠাস শিলের পতন যেন স্ফটিক পারা ।


দৌড়ে গিয়ে দাওয়ায় উঠে অবাক হয়ে থাকা
সুযোগ বুঝে শিল কুড়ানো বাটিতে ধরে রাখা ,
খানিকবাদে থামতো ঝড় ধ্বংসের কাজ সেরে
বৃষ্টি শিল থেমে গেলে আলোয় আকাশ ঘেরে ।


অপেক্ষা ছিল এবার ঠিক রামধনু দেবে দেখা
ঠিক দেখতাম পূবাকাশে সাতটা রঙের রেখা ,
ঝিলমিলাতো তরুর শাখে হরেক সবুজ মেলা
স্মৃতির চারণ স্মৃতি পটের আমার মেয়েবেলা ।


হয়তো আবার মন প্রশান্ত সুনীল আকাশ পেয়ে
হয়তো আবার আসছে ফিরে বৈশাখী ঝড় ধেয়ে ,
হয়তো আবার শৈশবের মতো আম কুড়াবো বেশ
ফিরবে না মা যে আমার শুধু রয়েছে স্মৃতির রেশ ॥