যে নামেই ডাকা হোক না কেন তাকে -
জল ওয়াটার বারি অথবা পানি ,
পিপাসাই যখন ফাটে সবার বুক -
অলক্ষ্যে দেয় সকলকে হাতছানি ।


যখন দেখি পথপাশের ট্যাপটাকে -
গলগলিয়ে বেরোতে থাকে জল ,
চেতনাহীন অনেক লোকই আছে -
দেখেও দেখে না, বন্ধ করে না কল ।


সজলধারা এখন গ্রামে গ্রামে...
পাণীয় জলের না রাখতে অভাব ,
তাদেরই অর্থে পৌঁছেছে সেই ধারা -
অপচয়ে সিদ্ধ তাদের বদ স্বভাব ।


শহরবুকে বাড়িতে টাইম জল---
প্রয়োজন নেই তবুও খুলে রাখে ,
বললে দেয় সিধে একটাই উত্তর -
আয়রন এসে ভরিয়ে দেবে তাকে ।


মাটির গভীরে সেঁদিয়ে সাব মার্সিবল-
সুইচটা টিপে বসে থাকে নির্বিকার !!
জলের ট্যাঙ্কি উপচে পড়তে থাকে...
আ মোলো যা ! মোটেই নেই বিকার !!


যতই ভাবো পুড়ছে কারেন্ট তোমার -
জল পড়ছে তো আমার বাপের কি !!
পোড়া কপাল আমার ,এ কেমন কথা !!
দুটো সম্পদ নষ্ট হচ্ছে তো !! না কি !!


ভূমিতলে জলের স্তর যাচ্ছে নেমে -
আকাল হবে পানীয় জলের যেমন ,
আর্সেনিকের প্রভাব বাড়বে জেনো -
সুতীব্র সাপের বিষ !! ঠিক তেমন ।


সমীক্ষা বলছে হাহাকার ঘরে ঘরে -
আর একফোঁটা জল দাও গো খেতে ,
হা-পিত্যেশ করে বসেই থাকতে হবে...
লাইন দিয়ে এক বালতি জল পেতে ।


টুপ টুপ টুপ পড়ছে দিবস রাতি -
ট্যাপ চুঁইয়ে ফোঁটা ফোঁটা জল ,
ভাবছো বুঝি কি এমন নষ্ট হচ্ছে...!!
পাত্র রাখলে দেখতে পাবে ফল ।


বৃষ্টির জলও করা যাবে সংরক্ষণ -
মাটির নীচে স্টোরেজ একটা করে ,
বাড়তি জল পড়ুক গিয়ে ইঁদারায় -
সঞ্চিত থাকুক মাটির পেটটি ভরে ।


যতই ভাব তিন ভাগই তো ধরার জল !!
যত রাজ্যের গুজব ছড়ায় সবাই ,
দেখবে একদিন ঠুকবে নিজের মাথা...
তোমার ভুল কেমন তোমায় ডোবায় ।


তাই বলে কি ব্যবহার করতে মানা...!!
কন্ বোলা হ্যায় আইসা অজব্ বাত...!!
প্রয়োজন মাফিক খরচা ঠিক করো...
য্যাইসা করতা হ্যায় রূপিয়া কে সাথ ॥


২|৭|১৯