------------------------------------------------------
(সকলের অন্তরালে যারা নিত্যদিন মনের সাথে লড়াই করে তাদের প্রতি উৎস্বর্গীকৃত)
------------------------------------------------------


ঠিক বিকাল পাঁচটা...
মুহুর্মুহু হাতে তালি কাঁসর ঘন্টা উঠলো বেজে---
সারা ভারতের বাসিন্দারা জানালো যে সম্মান
বায়ো যুদ্ধে লিপ্ত সেনাদের বর্দ্ধিত হলো মান ।


অবশ্যই প্রসংশনীয়...
সকলের সমবেদনা বর্ষিত হল সেনাদের প্রতি---
আত্মতৃপ্ততায় তৃপ্ত আপামর স্বাস্থকর্মীর মন
প্রতিরক্ষা সহ আপৎকালে লিপ্ত সমগ্র প্রশাসন ।


একবার ভেবে দেখো...
সেই মা যে সাজায় তার সন্তানকে যুদ্ধের সাজে---
দুধের শিশুকে সাহারা দেয় মেয়েবৌকে যুদ্ধে যেতে
মুখে তুলে দেয় খাবার বিপদের ঝুঁকি জেনে তাতে ।


ভাবো তো সেই বাবার কথা...
সন্তানের মনে সাহস জোগায়...সাবধানে থাকিস---
এ যুদ্ধে জিততেই হবে , দুর্বল যারা তারা হার মানে
পরাজয় শব্দটা যেন ঠাঁই না পায় তোর অভিধানে ।


ভাবো তো সেই স্বামীর কথা...
বিপদের আশঙ্কা জেনেও এগিয়ে দেয় তার স্ত্রীকে ---
কখন ফিরবে আবার অধীর প্রতিক্ষায় থাকে চেয়ে
ঘরে ফেরা মাত্রই গরমজল সাবানটা দেয় এগিয়ে ।


সেই সে দয়িতা অথবা স্ত্রী...
অপেক্ষাতে থাকে তার ভালোবাসা ফিরবে ঘরে---
নিত্য সাহসের করে সঞ্চার...মনে রেখো না ভয়
শান্তিতে বসবে ঘরে...যে দিন নিশ্চিত হবে জয় ।


ভাবো সেই ছেলেমেয়ের কথা...
আশৈশব পিতামাতার সঙ্গের অপ্রাপ্তি প্রতিদিন---
তবুও এতটুকু আক্ষেপ নেই এই বিপদের ক্ষণে
নির্ভীকতার সাথে বলে রক্ষা করো সতত আর্তজনে ।


প্রতিক্ষাতে বসে ভাইবোন...
যুদ্ধে জিতে ফিরবে নিশ্চিত তাদের দাদা দিদি---
আবার গল্পের ফোয়ারা ছুটবে ঠিক ছুটির দিনে
যুদ্ধ জয়ের গল্প জমবে না চালভাজা ও চা বিনে ।


দেখা না দেখা সম্পর্ক...
শত কাজের মাঝেও যারা ভোলে না কখনো....
প্রতি পদে পদে সতর্ক করে সাবধানে থেকো যেন
রোগীর দেখভালের সাথে সাথে সুরক্ষাটাও মেনো ।


সসম্মানে নত করি মাথা...
তোমরা আছো বলেই আমাদের নেই কোনো ভয়---
তোমরা আছো বলেই সাহসের সাথে যাই যুদ্ধে
তোমরা আছো বলেই জিতবো এ রোগের বিরুদ্ধে ,
বিশ্বজুড়ে মৃত্যুমিছিল স্বজন হারানোর হাহাকার
অঘোষিত দুর্ভিক্ষ দূর হয়ে এ পৃথ্বী হাসবে আবার ॥